1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
নওগাঁর ৫০ পয়সার ফুলকপি ঢাকায় ৩০ টাকা - Dainik Deshbani
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০০ অপরাহ্ন

নওগাঁর ৫০ পয়সার ফুলকপি ঢাকায় ৩০ টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫

ভালো লাভের আশায় ফুলকপি চাষ করে এখন বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা। ভালো ফলনেও কপাল পুড়েছে তাদের। পাইকারি প্রতিটি ফুলকপি সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা, সর্বোচ্চ ২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। একই ফুলকপি ঢাকাতে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ডাক্তারের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই কৃষকরা তাদের জমিতে চাষ করা ফুলকপি বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন।

কিন্তু ফুলকপি বিক্রি করতে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। প্রতিটি ফুলকপির দাম পড়ছে সর্বনিম্ন পঞ্চাশ পয়সা। এরপরও কেউ কেউ অপেক্ষা করেও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না।

কৃষকরা বলছেন, গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছেন তারা। সে বিষয়টি ভাবনায় রেখে এ বছরও আবাদ করেছেন তারা। তবে ফুলকপির দাম যা দাঁড়িয়েছে তাতে লাভ তো দূরে থাক, আসলও উঠছে না। মৌসুমের শুরুতে আগাম জাতের এ সবজির উৎপাদন কম থাকায় দাম ছিল বেশ চড়া। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে ধস নেমেছে।

ফুলকপি বিক্রেতা আকবর হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনই ফুলকপি ১ থেকে ২ টাকা পিস বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও কপি কেনার মতো মানুষ নেই। এক বিঘা জমির কপি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে না। তাহলে আমরা কী করে চলব। ধার-দেনা করে ফুলকপি চাষ করেছি। এখন সেই টাকাই তো পরিশোধ করা সম্ভব নয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬ হাজার ২০০ টন ফুলকপি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

নওগাঁ কৃষিবিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি হয়ে গেছে। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। কিনতে চাচ্ছে না ভোক্তারা। তাই দাম কম পাচ্ছে কৃষকরা।

একইদিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা করে। ক্রেতা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আমি আজিমপুর কাঁচাবাজার থেকে ৩০ টাকায় এক পিস ফুলকপি কিনেছি। শুনেছি গ্রামে অনেক কম দাম।

কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শিপন জানান, গ্রামে শীতকালীন সবজির দাম অনেক কম। গ্রামের বাজারে কৃষকরা সরাসরি পাইকারদের কাছে পণ্য বিক্রি করেন। সেই একই পণ্য ঢাকায় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আসতে অনেক হাত বদল হয়। ফলে পণ্যের দামও বেড়ে যায়।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব