আড়াই কোটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীকে নিঃস্ব হওয়া থেকে বাঁচাতে লকডাউনে নির্দিষ্ট সময়ে দোকান খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত দোকান ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সুবাস্তু অর্কেড আইসিটি ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক তৌফিক এহেসান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে ২ কোটি ৫০ লাখ ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী রয়েছেন। যারা দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল এবং এ আয় থেকেই দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় চাহিদা ও জীবন নির্বাহ করে থাকেন। লকডাউনের কারণে যদি তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাদের আর কোনো ব্যবসায়িক অস্তিত্ব থাকবে না এবং পথে বসে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে তৌফিক এহেসান বলেন, আপনি ব্যবসায়ী বান্ধব প্রধানমন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীদের অভিভাবক হিসেবে আমাদের প্রতি সদয় বিবেচনা করে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেবেন। যাতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই। লকডাইনের মধ্যেও আইটি পণ্য, কৃষি পণ্য ও যন্ত্রাংশ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি গার্মেন্টস শিল্প, কুরিয়ার সেবা, অনলাইনে পণ্য সরবরাহ সেবাসহ অন্যান্য জরুরি পণ্য সেবা যাতে খোলা থাকে সেদিকে দৃষ্টি দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করি। আশা করছি, এই সিদ্ধান্তে করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু এই লকডাউনে সবচেয়ে কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়ে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল এবং সাধারণ দোকান ব্যবসায়ীরা। রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা তাদের পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। এ অবস্থায় সর্বাত্মক লকডাউনের ফলে ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে যাবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তৌফিক এহেসান বলেন, সরকার আমাদের দাবি না মানলে আমরা অত্যন্ত কষ্ট পাব। কিন্তু আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। তবে সরকার যদি একেবারেই দোকান খোলা না রাখতে পারে তাহলে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছোট-মাঝারি ও বড় মিলে প্রায় ৪ কোটি ব্যবসায়ী রয়েছে। লকডাউনে সবাই ক্ষতির মুখে পড়বে। এজন্য সীমিত সময়ের জন্য কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখার দাবি জানাচ্ছি।