প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বয়স ৭৫ বছর। সেই স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি করছি। কাজেই এ দেশের সবাইকে আমার চেনা আছে। কে কি করতে পারে আমার জানা আছে।
শনিবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ডিজিটাল আইন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যেহেতু গড়ে তুলেছি, এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্বটা আমাদের পালন করতে হবে যাতে করে আমাদের শিশুরা বিপথগামী না হয়। কেউ যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে, সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা অপরিহার্য। সেজন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিচ্ছি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো আন্দোলন শুরু করেছে।
বিষয়টি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো মৃত্যু কাম্য নয়। কিন্তু সেটাকে কেন্দ্র করে অশান্তি সৃষ্টি করাও উচিত নয়। জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছিল। সেরকম কিছু তো ঘটেনি। কেউ অসুস্থ হলে বা এই জিনিসটার কী করার আছে।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এ কৃতিত্ব এ দেশের আপামর জনসাধারণের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি।