পটুয়াখালীর দুমকিতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত দু’দিনে উপজেলা হাসপাতালে অন্তত: ২০জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রুগীকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিদিনই আসছে ডায়েরিয়াক্রান্ত রুগী। এদের সামাল দিতে কর্তৃপক্ষের নেই কোন পূর্ব প্রস্ততি। অপর দিকে হাসপাতালে এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন না থাকায় বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে এমন অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শহীদুল হাসান শাহীন স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ সংকটের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইনডেন দেয়া হয়েছে। দু’একদিনে সংকট কেটে যাবে।
জানাগেছে, গত ২ দিনে দুই অন্তত: ৩০জন রোগী ডায়েরীয়া আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ জন ডায়েরীয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবিকাদের এসব রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে এমন দাবী আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাকিরুজ্জামান’র। ৫১ শয্যার হাসপাতালে ভর্তিকৃত অন্যান্য রুগীদের পাশাপাশি ডায়েরীয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড সংকট দেখা দিয়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় হাসপাতাল থেকে রোগীদের এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন দেয়া হচ্ছে না। এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।
(২২ মার্চ) সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ঘুরে দেখাগেছে, হাসপাতালে রোগীদের ভীড়। ফ্লোরে বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। ডায়েরীর রোগী জুয়েল মুন্সি স্ত্রী হাওয়া বেগম বলেন, হাসপাতাল থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাইরে থেকে ঔষধ ও স্যালাইন এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে সরকারি ভাবে কোন ঔষধ দেয়া হচ্ছে না। একই অভিযোগ জলিশা গ্রাম থেকে আসা রুগীর স্বজন মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, দুইদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তার রুগী এখন কিছুটা সুস্থ। হাসপাতাল থেকে কোন স্যালাইন দেয়া হচ্ছে না। এন্টিবায়েটিকসহ সব ঔষধ বাহির থেকে কিনে এনেছি। আঠারগাছিয়া গ্রামের রোগী সোনিয়ার স্বামী মোঃ মমিন বলেন, এন্টিবায়োটিক এবং আইভি স্যালাইন বাহির থেকে কিনে এনেছি। হাসপাতাল থেকে খাবার স্যালাইন ছাড়া কিছুই দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহীদুল হাসান শাহীনের চেম্বারে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। অফিস সহায়ক বাবুল মীর বলেন, স্যার মিটিংএ গেছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, স্যালাইন সংকট দু’একদিনে কেটে যাবে, ইনডেন দেয়া হয়েছে। সেমিনারে আছেন, বিস্তারিত পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। সিভিল সার্জন ডা. মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুমকি উপজেলা হাসাপাতালে ঔষধ সংকট থাকার কথা নয়। আর্থিক বছরের পুরো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কেনাকাটার দায়িত্ব টিএইচএ’র, গরিমশি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।