আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও জাতীয় শোক দিবসের প্রথম প্রহরে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা কমপ্লেক্স চত্ত্বরে আলো বিহীন শহীদ মিনারে গাড়ীর হেড লাইটের আলোতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের এমন আয়োজন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নাকি অবজ্ঞা? এমন প্রশ্নে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
গতকাল শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২-০১মিনিটে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্তরের শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপণার শিকার হন। উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষে আগত প্রতিনিধিবর্গ যথাসময়ে শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে কোন আয়োজন না দেখে সবাই হতবাক হন। পরে উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি আল-ইমরান, থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতার গাড়ী তিনটি শহীদ মিনারমুখী হেড লাইট জালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়। ছিল না কোন মাইক বা সাউন্ড সিষ্টেম, মৌখিক উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আ’লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দোয়া মোনাজাত ছাড়াই অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লা সাদীদ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. হারুন অর রশীদ হাওলাদারের অনুপস্থিতির কারণেই
জাতীয় শোক দিবসের এমন দুরাবস্থা বলে মন্তব্য সবার। উপজেলা আ’লীগের একজন সিনিয়র নেতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এর দায় প্রশাসন কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না। জাতীয় শোক দিবসের অয়োজনে অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল-ইমরান কোন জবাব দেননি। আয়োজনের বিষয়ে জানা না থাকায় তিনি মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ’র ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সংযোগ না হওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।