মাত্র পাঁচমাস আগে ইসরাইলের সঙ্গে আরব আমিরাতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হল। নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এ চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার দেশ দুটির রসায়ন কেবল উষ্ণতাই ছড়াচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ বাড়ছে হু হু করে।
শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলো জানায়, গত পাঁচমাসে তেল-আবিব আর আরব-আমিরাতের বাণিজ্য দাঁড়িয়েছে ১ বিলিয়ন দিরহাম। বাংলাদেশি টাকায় যা ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। আগস্টে দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির পর প্রথমবারের মতো এমন একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করলো দুবাই।
এ বাণিজ্যের মধ্যে আমদানি করা হয়েছে ৩২৫ মিলিয়ন বা ৭৪৭ কোটি ৫০ লাখের বেশি টাকার পণ্য ও সেবা সামগ্রী। অন্যদিকে রফতানি করা হয়েছে ৬০৭ মিলিয়ন দিরহাম বা ১ হাজার ৪শ’ কোটি টাকার বেশি।
ইসরাইলের উপর থেকে আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই দেশের বাণিজ্যিক ও আর্থিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির পর গত বছরের ২৯ আগস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ডব্লিউএএম জানায়, নতুন আইনে ইসরাইল ও সে দেশের প্রতিষ্ঠান আরব আমিরাতে ব্যবসা করতে পারবে। এছাড়াও, এর মাধ্যমে ইসরাইলি পণ্য ক্রয় এবং ব্যবসারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে এই নতুন আইনি বিধান আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে যৌথ সহযোগিতার একটি রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। যা অর্থনৈতিক বিকাশ এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।