বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
মধ্য প্রাচ্যের একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরটি আমিরাতের রাজধানী। আর UAE এর মধ্যে সর্ববৃহৎ, মধ্যে প্রাচ্যের ব্যাবসার অন্যতম কেন্দ্র ও সবচেয়ে জনবহুল শহর দুবাই।
কিছুদিন আগেও আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে দুবাই যাওয়া যেত। তবে এখন আর তা নেই শুধু মাত্র টুরিস্ট এবং বিজনেস ভিসা আছে। যারা মূলত দুবাই বিজনেস ভিসায় যেয়ে চাকরি নিতে ইচ্ছুক। তো আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, আজকের আলোচনা তে আপনি দুবাই বিজনেস ভিসার সকল তথ্য গুলো জানতে পারবেন।
১/ দুবাই বিজনেস ভিসা বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ– আপনি যখন বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে দুবাইতে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যাবেন।
তখন আপনাকে যে ভিসা প্রদান করা হবে। সেই ভিসা কে বলা হয়, দুবাই বিজনেস ভিসা। যাকে দুবাই এর ভাষায় বলা হয়, ইনভেস্টর ভিসা।
আর আপনার নিকট যখন এই ধরনের দুবাই বিজনেস ভিসা থাকবে।
তখন আপনি উক্ত ভিসার মাধ্যমে দুবাইতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন।
এর পাশাপাশি আপনি চাইলে উক্ত ভিসার মাধ্যমে দুবাইতে জব করার অনুমতি পাবেন।
২/ দুবাই বিজনেস ভিসায় কি আলাদা সুবিধা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ– প্রতিটা ভিসার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সুবিধা আছে। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনার কাছে দুবাই এর বিজনেস ভিসা থাকবে। তখন আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন,
প্রথমত এটি যেহুতু বিজনেস ভিসা। তাই আপনি উক্ত ভিসার মাধ্যমে দুবাইতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন। যেমন, আপনি হোটেল, রেষ্টুরেন্ট কিংবা অন্যান্য দোকানে গিয়ে আপনার পছন্দমতো ব্যবসা করতে পারবেন। কারণ দুবাই সরকার আপনাকে বিজনেস করার জন্য অনুমতি দিয়েছে।
তবে ব্যবসা করার পাশাপাশি দুবাই বিজনেস ভিসায় আপনি আরো একটি সুবিধা ভোগ করতে পারেন। সেটি হলো, এই ভিসার মাধ্যমে আপনি চাইলে দুবাইতে আপনার যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে জব করতে পারবেন।
এবং আপনার ইচ্ছামত আপনি জব করার অনুমতি সরকার আপনাকে দিয়েছে।
৩/ দুবাই বিজনেস ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকে?
উত্তরঃ- আপনি ব্যবসা করার জন্য দুবাই যাবেন।
আর ব্যবসা করতে দীর্ঘ সময় এর প্রয়োজন হয়। সেজন্য দুবাই বিজনেস ভিসার মেয়াদ সম্পর্কেও আপনার সঠিক ধারনা রাখতে হবে।
বর্তমান সময়ে দুবাই বিজনেস ভিসার মেয়াদ রাখা হয়েছে ০২ বছর। তবে যদি আপনি সেখানে ভালো ভাবে ব্যবসা করতে পারেন। তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনি আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
আর যখন আপনি আপনার বিজনেস ভিসার মেয়াদ বাড়াবেন। তখন আপনার খরচ ও সময় দুটোই কম লাগবে। সেজন্য আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সকল তথ্য দিয়ে ভেরিফিকেশন করলেই আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন।
৪/ কিভাবে দুবাই বিজনেস ভিসা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ- আপনি সরাসরি আমাদের বাংলাদেশ থেকে দুবাই বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কেননা, এখন পর্যন্ত দুবাই থেকে বাংলাদেশের জন্য তেমন সুবিধা চালু করা হয়নি।
আর যদি আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে দুবাই বিজনেস ভিসা করতে চান। তাহলে প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
অথবা যারা ডুবেতে বিজনেস করতেছে তাদের সাথে সমন্বয়ে করে নিতে হবে।
তো যখন আপনি ভিজিট ভিসার মাধ্যমে দুবাই যাবেন।তারপর আপনাকে নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির মাধ্যমে পুনরায় দুবাই বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
কিন্তুু এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো। যখন আপনি দুবাই যাওয়ার পর নিজে থেকে বিজনেস ভিসার কাজ গুলো করবেন। তখন আপনার ভিসার কাজে ব্যয় খুব কম হবে। কিন্তুু যদি আপনি দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে করেন। তাহলে আপনার খরচের পরিমান অনেক বেশি হবে।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সিরা আপনার অর্থ অত্মসাৎ করার ভয় তো থাকবেই। তাই যা করবেন, সাবধানতার সহিত করবেন। যেন আপনার শ্রম ও অর্থ বিফলে না যায়।
সরাসরি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যেতে হয় তাহলে শতাব্দী এজেন্সি আপনার পাশে আছেন।
দুবাইতে যেয়ে যে সকল কাজগুলো এখন করতে পারবেন
