ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ৭ দিন বন্ধ থাকবে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্থলবন্দর। এ সময় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ ছুটিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
তিনি বলেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) থেকে দর্শনা স্থল ও রেলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ করতে রওনা দেবেন। ঈদের পর পহেলা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন বন্ধ থাকবে বন্দরের কার্যক্রম। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল যথারীতি চালু থাকবে। ছুটি শেষে ১৫ এপ্রিল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
দর্শনা চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি আতিকুর রহমান আতিক জানান, ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থলবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ঈদের দিনসহ ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
সরকারি ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকারি ছুটি পেয়েছি, তবে সবার একসঙ্গে ছুটি হয়নি। কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে কিছু জনবল এসময় থাকবে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান জানান, ৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদ, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে দর্শনা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি কর্মদিবস থাকলেও বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি ও কাস্টমসের কার্যক্রম চালু হবে।
তিনি আরও জানান, ঈদের সময় ভারতগামী যাত্রীদের খুব একটা চাপ না থাকায় ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী আন্তর্জান্তিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এছাড়া বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ভারতের যে খালি ওয়াগনগুলো রয়েছে, সেগুলো ঈদের আগেই পর্যায়ক্রমে ফেরত পাঠানো হবে। কারণ ওয়াগনের জন্য ভারতকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া দিতে হয়।