পাঠাগার, গবেষণা কক্ষ সবই আছে তবে দরজায় ঝুলছে তালা। প্রতিষ্ঠার দুই যুগেও বেহাল দশা কাটছে না বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের। এছাড়া দখলদারদের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যেতে বসেছে বসতভিটাও।
বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র। যদিও ভেতরে ঢুকলে দেখা মেলেনা কোন স্মৃতি চিহ্ণের। অডিটোরিয়াম, সেমিনার কক্ষ, পাঠাগার, গবেষনা কক্ষ সবই আছে, কিন্তু সব কক্ষের দরজায় ঝুলছে তালা। লোনাধরা দেয়ালের ধ্বসে গেছে বালি। স্মৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পেরিয়ে গেলেও নেই তেমন কোন কার্যক্রম।
আর একটু সামনে গেলে দেখা মিলবে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার বসতভিটা। দখল-দূষণে বিলুপ্তির পথে সেটিও।
পাশেই বেগম রোকেয়া হ্যান্ডি ক্রাফট ও হস্ত শিল্পের দুটি প্রতিষ্ঠানে স্বাবলম্বী হয়েছিলেন অনেক নারী। সহযোগীতার অভাবে মুখ থুবরে পড়েছে সেই দুটি প্রতিষ্ঠানও।
এদিকে বার বার আশ্বাসের পরেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়া স্টাডিজ কোর্স চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তবে বেগম রোকেয়ার স্মৃতি সংরক্ষণের কাজ দ্রুত করা হবে বলে জানান, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জীবন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে তার জন্মভূমি রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে গড়ে তোলা স্মৃতিকেন্দ্রটি সংরক্ষনের দাবি দর্শনার্থীদের।