1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

তিস্তাপাড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানির তোড়ে ভেঙেছে বাঁধ

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

উজানের ঢলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা। ডুবে গেছে ফসলি জমি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। আকস্মিকভাবে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা এলাকায় ওই বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার সহস্রাধিক হেক্টর জমির উঠতি বাদাম ও ভূট্টাক্ষেত তলিয়ে গেছে। বাঁধটি রক্ষা করতে না পারলে আসন্ন বন্যায় গ্রামগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় উৎকণ্ঠায় রয়েছেন এলাকার মানুষজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উজানে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে শনিবার সকালে নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

সরেজমিনে শনিবার দুপুরে বিনবিনা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তীব্র স্রোতে বাঁধটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বাঁধ ভেঙে পানি ভেতরে ঢুকে পড়ায় গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনার চর, আউলিয়ার হাট, পূর্ব বিনবিনা, বাগেরহাট, লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, পশ্চিম ইছলী, লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার, রুদ্রেশ্বর ও সেরাজুল মার্কেটে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে উঠতি বাদাম ও ভূট্টাক্ষেত।

স্থানীয়রা জানান, বিনবিনা এলাকায় একটি বেড়িবাঁধ ছিল। গত বন্যায় তা ভেঙে তিস্তার স্রোত গতি পরিবর্তন করে। এতে বন্যা ও ভাঙনের শিকার হয়ে ওইসব এলাকার মানুষ। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে কোনো সমাধান না পেয়ে বাধ্য হয়ে চলতি বছর ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় তারা স্বেচ্ছাশ্রমে ৫০০ মিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ করে। যাতে তিস্তার মূল গতিপথ শেখ হাসিনা গঙ্গাচড়া সেতুর নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু বাঁধ ভেঙে এবারও তিস্তা ভিন্ন পথে চলতে শুরু করেছে।

কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজুসহ বিনবিনা চরের বাসিন্দা নুরুন্নবী ভূট্র, ইদ্রিস আলী, আতাউর রহমান, মাহফুজার রহমান জানালেন, বাঁধ না থাকায় গত বছর বন্যায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল পুরো এলাকা। সেই ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি এলাকাবাসী। বিনবিনা এলাকায় একটি স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো লাভ হয়নি তাদের। ফলে চলতি শুষ্ক মৌসুমে গ্রামবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদ মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে মাটির বাঁধ নির্মাণ করেন তারা। কিন্তু জৈষ্ঠ্যের বন্যায় সেই কষ্টের বাঁধ গিলে খেয়েছে রাক্ষুসি তিস্তা। বাঁধটি ধরে রাখতে কোনো দপ্তরের সহযোগিতা না পেয়ে শনিবার ভোর থেকে এলাকাবাসী চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। দুপুরের মধ্যে ৩০০ মিটার বাঁধ নদীর পেটে চলে গেছে। হু-হু করে পানি ঢুকে পরে গ্রামে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ জানিয়েছেন, শনিবার সকালে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বয়ে যায়। দু’একদিনের মধ্যে পানি কমবে। তবে বিনবিনার চরে অস্থায়ী বালুর বাঁধটি পরিকল্পিত না হওয়ায় পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। আগামী শুস্ক মৌসুমে ওই এলাকায় টেকসই বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব