স্থানীয়দের হামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবির) অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় শনিবার সকালে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।
তাদের দাবি, শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে আবাসিক হল খুলে দিতে হবে, ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকার রাস্তায় ফটক নির্মাণ এবং আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হবে।
এরই মধ্যে হলের তালা ভেঙে প্রবেশ শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি আবাসিক হলের তালা ভেঙেছেন তারা। শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রথমে জাবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা তিন দফা দাবিতে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেন।
বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। দাবি আদায় না হলে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে সরবেন না শিক্ষার্থীরা। আর ২টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলেও জানান তারা।
আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে জানিয়ে হল খোলার দাবির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বর্তমান মহামারি এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এটা একান্তই সরকারি সিদ্ধান্ত। সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সরকার যে মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে, সঙ্গে সঙ্গেই আমরা হলগুলোও খুলে দেব।’
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগের একটি ক্রিকেট ম্যাচে বাকবিতণ্ডার জের ধরে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধ চলছিল জাবির কয়েকজন শিক্ষার্থীর। এ ঘটনার রেশ ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা জাবি শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা করে। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয়দের হামলায় জাবির অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে ১১ শিক্ষার্থী গুরুতর অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।