“আমি জন্মের পর থেকে দেখে আসছি আমার বাবা সংসদ সদস্য, একটু বড় হতেই দেশি আমার বাবা মন্ত্রী, কৈশোর আর যৌবনে প্রবেশ করে দেখি আমার বাবা অবিভক্ত ঢাকার মেয়র। সুতরাং জন্মের পর থেকেই অর্থ, সম্মান এবং ক্ষমতার মধ্য দিয়েই আমার বেড়ে ওঠা। তাই টাকা-পয়সা, সম্মান, ক্ষমতা এবং কারো থেকে জি হুজুর জি হুজুর শোনা এমন কোনো কিছুতেই আমার লোভ বা এমন কোন উদ্দেশ্য নেই। তবে একটা লোভ আমার আছে,তা হলো “আমার বাবার জানাজায় যত মানুষ শরীক হয়েছে, আমার মৃত্যুর পর যেন তার থেকেও বেশি মানুষ আমার জানাজায় শরীক হয়। এটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য বা ইচ্ছা”।
এসব কথা বলছিলেন এক রাজনৈতিক নেতা। অভিভূত হয়ে সেদিনই কোন রাজনৈতিক নেতার ওপর তার নেতৃত্বের প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং আস্থা তৈরি হয়েছে আমার। তিনি তারুণ্যের আশা জাগানিয়া একজন, ইশরাক হোসেন। বিএনপি’র বৈদেশিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সর্বেশষ নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী।
“আই হেট পলিটিক্স”র যুগে সত্যিই ইশরাক হোসেন এক আইকনিক নেতৃত্বে পরিণত হয়েছেন। একটা সময় দেখা যেত নেতাদের থেকে কিশোর এবং তরুণরা দূরেই থাকতো। এই ট্রেন্ডের এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে এখন। ইশরাক হোসেনের যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বা অনুষ্ঠানে উপস্থিতি মানেই কিশোর-যুবা এবং তরুণদের উপচে পড়া ভিড়। রাজনীতিবীদও যে সেলিব্রিটি হয় এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক। আগে দেখতাম কোন ফিল্ম স্টার বা খেলোয়াড় কোথাও গেলে তার ভক্তরা তার সাথে ছবি উঠাতে ব্যস্ত হয়ে যেত, কিন্তু বিনোদন বা গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের কেউ না হয়েও এত এত মানুষ, কিশোর-তরুণরা ছবি উঠাতে ভিড় করছেন, সেটি আবার কোন রাজনৈতিক নেতার সাথে! হ্যাঁ এই ট্রেন্ড বা ক্রেজ এখন এসেছে রাজনীতিতেও, যা এসেছে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের হাত ধরেই।
আজ তার জন্ম দিন। শুভ জন্ম দিন হে তারুণ্যের আশা জাগানিয়া নেতা। এগিয়ে যান আরো দুর্বার গতিতে।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক ১৯৮৭ সালের এই দিনে সমন্বিত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র ও বিএনপি’র প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং ইসমত আরার কোলজুড়ে এ পৃথিবীতে আসেন। পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশের স্কলাস্টিকা স্কুল হয়ে যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে। গ্রাজুয়েশন এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন হার্টফোর্ডশায়ারের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ। এরপর পরই দেশে ফিরে মনস্থির করেন জনগনের সেবায় আত্মনিয়োগের। এখন পুরোদস্তুর একজন রাজনীতিবিদ।
সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা ৬ আসন থেকে বিএনপি’র হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দিতে হয় ঐক্যজোট কে। কিন্তু এরপরই ২০২০ সালের সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে সরকারের হিসেব অনুসারে হেরে গেলেও তার নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণ তাকে উপাধি দেন “জনতার মেয়র” হিসেবে। এরইমধ্যে সারাদেশে জনতার মেয়র হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছেন তরুণ এই নেতা। খুব অল্প দিনেই জয় করেছেন ভোটার কর্মী এবং দলীয় এবং সাধারণ মানুষের মন।
করোনা মহামারীতে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক ছিলেন একজন প্রথম সারির যোদ্ধা। দরিদ্র এবং অসহায় মানুষের অনেকটা আশ্রয়ের জায়গা হিসেবেও পরিণত হয়েছেন। ঠিক একইভাবে গণতান্ত্রিক বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকেই। কর্মীর জন্য এ এক নিবেদিতপ্রাণ ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। এই দিনে দেশ বাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা।
লিখেছেন
সুজন মাহমুদ
সাংবাদিক