উত্তাল মিয়ানমার। দেশটির জান্তা সরকারের বিধি-নিষেধ ও হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে টানা অষ্টম দিনের মতো বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছে জনগণ। আজ শনিবার বিক্ষোভে দেশটির হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। অপহরণ, গ্রেপ্তার, অত্যাচার করলেও মানুষ সেনা সরকারবিরোধী আন্দোল চালিয়ে যাচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গনে বিক্ষোভে নেমেছে। বসে নেই দেশটির রাজধানী নেপিডোর জনগণও। রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা আন্দোলনে নেমেছেন সেখানেও। এ ছাড়াও মানদালায়সহ দেশটির অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ দেখা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সরকারের সমালোচনাকারীদের গ্রেপ্তারের ভিডিও মিয়ানমারের জনগণের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়িয়ে তুলছে। এ ছাড়াও রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। তারা বলছেন, ‘রাতে অপহরণ বন্ধ করুন’। দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে বিভিন্ন লেখাও। আন্দোলনকারীরা লেখছেন, ‘আমাদের রাতগুলো আর নিরাপদ নয়’, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাতে মানুষ অপহরণ করে’।
এর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারা বলছে, পাঁচজনের বেশি একত্রে হওয়া যাবে না। পাশাপাশি সমাবেশের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া হয়। তবে এসব বিধি-নিষেধ তোয়াক্কা না করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।
এদেক, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, কর্মী ও সন্ন্যাসীসহ ৩৫০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।