আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এসব তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা চিকিৎসাকেন্দ্রে স্থাপিত এ অস্থায়ী কেন্দ্রে শুধু চীনের সিনোফার্মের (ভেরো সেল) টিকা দেওয়া হবে।
এ ক্যাম্প থেকে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ছয়টি শর্ত ও নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
১. জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা ‘অনস্পট’ নিবন্ধনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে টিকার প্রথম ডোজ নিতে পারবেন। এনআইডি ছাড়া এ মুহূর্তে টিকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২. ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাভুক্ত টিকাকেন্দ্রে (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট) নিবন্ধন করা সত্ত্বেও যাঁরা এখনো টিকা নিতে পারেননি, তাঁরা এনআইডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ও টিকা কার্ড দেখিয়ে অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে টিকার প্রথম ডোজ নিতে পারবেন।
৩. ডিএসসিসির আওতাভুক্ত টিকাকেন্দ্র ছাড়া দেশের অন্য কোনো টিকাকেন্দ্রে নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের যে কেন্দ্রে নিবন্ধন করেছেন, সেখানেই টিকা নিতে হবে। তবে দ্রুত টিকা পেতে একটি তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। সুতরাং তাঁদের ক্যাম্পে সংরক্ষিত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৪. ডিএসসিসির আওতাভুক্ত টিকাকেন্দ্রে যাঁরা ইতিমধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, মুঠোফোনে ম্যাসেজ এলে তাঁরা একই টিকার (সিনোফার্ম) দ্বিতীয় ডোজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে নিতে পারবেন।
৫. যেহেতু ‘অনস্পট’ নিবন্ধনে অপেক্ষমাণ লাইনে থাকতে হবে, তাই টিকাকেন্দ্রে আসার আগেই নিবন্ধন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহার করে ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইট বা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের সময় জেলা: ঢাকা, উপজেলা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ওয়ার্ড ২১ এবং ‘যে কেন্দ্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক’ অপশনে কেন্দ্র বাছাই করতে হবে। নিবন্ধন শেষে এনআইডি, শিক্ষার্থীর আইডি ও টিকা কার্ড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা চিকিৎসাকেন্দ্রে টিকা নিতে হবে।
৬. যাঁদের এনআইডিতে পেশা হিসেবে ‘শিক্ষার্থী’ নির্বাচন করা নেই, তাঁদের টিকা পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য একটি তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। সুতরাং ওই শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পে সংরক্ষিত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।