বাস চলাচল গতকাল রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত করার কথা থাকলেও আজ সোমবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবাধে বাস চলছে। বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানে কর্মজীবীরা ফিরছেন।
আজ সকালে মহাসড়কে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা থেকে গোড়াইল নয়াপাড়া পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে। মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের আন্ডারপাসের পশ্চিম পাশে দাঁড়ানো ছিল ঢাকা শহরে চলাচলকারী গাঙচিল পরিবহনের একটি বাস। বাসটির চালক মো. সেলিম বলেন, গত শনিবার রাত ১২টার দিকে তিনি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে রওনা হন। যানজটের কারণে ৩৩ ঘণ্টা পরও তিনি মির্জাপুর অতিক্রম করতে পারেননি।
এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করলে চালক সেলিম বলেন, ‘শুনছি আজ (সোমবার) সকাল ছয়টা পর্যন্ত গাড়ি চলব। পরশু দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিলাহাটি থেকে টান দিছি। বিশ্বাস না হইলে রোডে আরও গাড়ি আছে, তাদের কাছে জানতে পারেন।’
বাসটির যাত্রী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার একটি কারখানার শ্রমিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁদের গতকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দেওয়ার কথা। এ জন্য এই বাসের যাত্রী হয়েছিলেন। তবে এখনো পৌঁছাতে পারলেন না গন্তব্যে।
মহাসড়কের চড়পাড়া এলাকায় প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে দেখা যায়, প্রতি মিনিটে দু–তিনটি বাস চলছে। আর অন্য পরিবহন চলছে মিনিটে পাঁচ থেকে ছয়টি। এ সময় ঢাকাগামী আজমেরী গ্লোরি, নাদের পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস, হাজী ট্রাভেলস, ইউনাইটেড, হিমাচল, বিআরটিসির দ্বিতল বাস, তুহিন সুপারসহ বিভিন্ন পরিবহন দেখা যায়। আর উত্তরাঞ্চলগামী আগমনী, স্বপ্না-শান্ত, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, তয়েজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বাস চলতে দেখা গেছে।
মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ডের অদূরে কুড়িগ্রামের রাজারহাট যেতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন রিকশাশ্রমিক ললিত বাবু। তিনি বলেন, ‘মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়ি যেতে চাইছি। রাস্তায় বাস চলছে। বাস-ট্রাক যা–ই হোক, যা পাব, তাতেই রওনা হব।’
মুঠোফোনে মির্জাপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকার কথা। তবে আমরা বাস চলতেও বলছি না। নাও করছি না। এখনো কিছু শ্রমিকের ফেরা বাকি আছে। শেষ মুহূর্তে যাতে তাঁরা গন্তব্যে যেতে পারেন, এ জন্য তেমন কিছু বলা হচ্ছে না।’