রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টি তে অনেক সড়কে পানি জমে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী ও কর্মজীবী মানুষ। বিশেষ করে অল্প বৃষ্টি তেই ঢাকায় যেসব এলাকায় পানি জমে যায়, সেসব এলাকায় রীতিমতো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ছয়টার পর ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ৩০০ ফিট যাওয়ার রাস্তা, মগবাজার ওয়ারলেস গেট থেকে মধুবাগে যাওয়ার রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। জলজটে একাকার সড়কটি। উপায় না পেয়ে মানুষ বেশি টাকা দিয়ে পানি পার হচ্ছেন। যানবাহন কম থাকায় অনেকে হাঁটু পানি মাড়িয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড, সরকারবাড়ি,কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় কর্মজীবীদের অনেকে ভিজেই কর্মক্ষেত্রে গেছেন।
সড়কে দেখা গেছে যারা ছাতা নিয়ে বেরিয়েছেন বৃষ্টি থেকে তাদের শরীরের উপরের অংশ বেচে গেলেও রক্ষা পায়নি নিচের অংশ। শরীরের নিচের অংশ পানিতে ভিজে গেছে তাদের। নিম্নআয়ের দিনমজুর, রিকশাচালক, গার্মেন্টসকর্মীদের অনেককে মাথায় পলিথিন মুড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে দেখা গেছে। আবার অনেকে বৃষ্টিতে ভিজেই রওনা হয়েছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ দিনভর রাজধানীতে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। রাজধানীর বাইরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সারাদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ বলেন, বর্ষকাল চলছে। তাই দিনের যেকোনো সময়ই বৃষ্টি দেখা দিতে পারে। তিনি আরও জানান, আজ সকালে শুরু হওয়া বৃষ্টি দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে চলবে। দুপুরের পর একটু কমতে পারে। রোদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। বলা যেতে পারে সারাদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।