দুই বাংলার চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে ‘তরী’ সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ। ছবিটিরও প্রথম লটের শুটিংও শুরু হয়েছিল। কিন্ত ছাত্র আন্দোলনে অচলাবস্থা সৃষ্টির কারণে সিনেমার শুটিং স্থগিত রাখা হয়। মাঝে ঋতুপর্ণাকে বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন নির্মাতা। অবশেষে তাই হলো। ‘তরী’ সিনেমা থেকে ঋতুপর্ণাকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে।
খবরটি নিশ্চিত করে গতকাল রোববার পরিচালক রাশিদ পলাশ জানান, আগেরদিন শনিবার কলকাতায় শ্রীলেখা মিত্রের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঋতুপর্ণার স্থানে শ্রীলেখাকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে চরিত্রটির পরিধি আরও বাড়বে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারি মাসের শুরুতে শ্রীলেখাকে নিয়ে শুটিং শুরু করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। নির্মাতা জানান, চিত্রনাট্যে ঋতুপর্ণার চরিত্রের যে পরিধি ছিল সেটি আরও বাড়ছে শ্রীলেখাকে ভেবে। কিন্তু এক লটের শুটিং হয়েও ঋতুপর্ণাকে কেন বাতিল করা হলো? এমন প্রশ্নের জবাব সরাসরি না দিলেও এটুকু জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বদল করেছেন তিনি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে ‘তরী’ থেকে ঋতুপর্ণার বাদ পড়ার মূল কারণে রয়েছেন নায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। ফেরদৌস-ঋতুপর্ণার বন্ধুত্বের খবর দুই বাংলার সবারই জানা। পর্দার জুটি হিসেবেও তাদের ওঠা-বসা বেশ সমৃদ্ধ। কিন্ত নির্মাতা চাননি, ফেরদৌসের সূত্র ধরে ছবিটির শুটিং ও মুক্তিতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হোক। নির্মাতা বলেন, ‘আমরা ছবিটির প্রথম ধাপের শুটিং শেষ করেছি। সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে শুটিংয়ে যোগ দেওয়ার কথাও ছিল ঋতুপর্ণার। জুলাইর প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় ও শেষ লটের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিডিউল ভেস্তে যায়। এখন নতুন করে শুটিংয়ে পরিকল্পনার কথা ভাবছি।’ এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় ছবির প্রথম ধাপের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসেই সিলেটে দ্বিতীয় ধাপের শুটিংয়ে যুক্ত হবেন শ্রীলেখা। আহাদুর রহমানের গল্পে ‘তরী’ সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। ছবিতে আরও অভিনয় করছেন তুষার খান, সুমন আনোয়ার, রেহনুমা। ২০২৫ সালে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাতার।