সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইরানের প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মুখপাত্র নাসের কানানি এ অভিযোগগুলোকে ‘হাস্যকর এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন প্রশাসনে কাজ করা সাবেক কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইরানের হুমকির বিষয়ে অনুসন্ধান করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিয়ে কানানি বলেন, ‘এটি স্পষ্ট যে এই ধরনের দাবি করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী কৌশলের একটি অংশ হিসেবে। এসব অভিযোগের নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। যেগুলো আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখানোরও যোগ্য নয়।’
ইরানি মুখপাত্র আরো বলছে, মার্কিন সরকার ফিলিস্তিনে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধে ইসরাইলি শাসকদের সহায়তা করে আসছে। এছাড়া লেবাননে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায় এড়াতে পারে না। বিশ্ব জনমত মনে করে এই ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের জন্য মার্কিন প্রশাসন দায়ী ।
এর আগে ইরানের দিক থেকে প্রাণনাশের ‘বাস্তবিক ও সুনির্দিষ্ট’ হুমকি রয়েছে- এ ব্যাপাারে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে মার্কিন গোয়েন্দারা। ট্রাম্পের প্রচারশিবির মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
এরপর দিন বুধবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেন, ‘ইরানের দিক থেকে আমার জীবনের প্রতি বড় হুমকি রয়েছে। পুরো মার্কিন সামরিক বাহিনী বিষয়টি দেখছে, অপেক্ষা করছে।’