1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

টিকা পাবেন রোহিঙ্গারা, ১০ আগস্ট থেকে শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল শনিবার থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়র ‘গণটিকাদান কর্মসূচি’ শুরু হয়েছে। টিকাদানে শৃঙ্খলা আনতে বয়স ও অঞ্চলকে প্রধান্য দিয়ে এ গণটিকা কার্যক্রম চলছে। প্রথম দিনে সারাদেশে ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। গণটিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত।

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যূত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকেও এ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ আগস্ট থেকে প্রথম পর্যায়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকা দেয়া হবে। এ কার্যক্রমে প্রায় ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৩ দিন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ আগস্ট রোহিঙ্গাদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও ৩ দিনের বেশি টিকা প্রয়োগ করা হতে পারে। এতে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেয়া হবে। প্রত্যেককে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হবে। রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষদের টিকা দেয়ার জন্য ক্যাম্পে ৫৬টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৫৮টি টিকা প্রয়োগকারী দল কাজ করবে। প্রতিটি দলে দু’জন টিকা-দানকারীর বিপরীতে থাকবেন তিনজন স্বেচ্ছাসেবক। টিকা নিতে আগতদের তথ্য ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনা বুঝতে সহযোগিতা করবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্টিং নাম্বার বা পরিবার পরিচিতি নম্বর দেয়া হয়েছে। মূলত এ নাম্বরের মাধ্যমে তাদের টিকা দেয়া হবে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকার আওতায় আনা হবে। প্রথম ডোজ দিতে যদি ৩ দিনের বেশি সময় প্রয়োজন হয় তাহলে তা করা হবে। বৃষ্টির জন্য ক্যাম্পের রাস্তা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চলাচলে সমস্যা হয়। এসব কারণে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ জেলায় টিকা ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ জানান, কক্সবাজারে ২২৮টি টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সব সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব