শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার-পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মঈন বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর আগেও কুকি-চিন সদস্যরা টাকার বিনিময়ে জঙ্গিদের অস্ত্র পরিচালনা প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসীদের নির্মূলের পাশাপাশি রুমা সোনালী ব্যাংক থেকে লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র উদ্ধারে আজ থেকে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি যে হামলাগুলো হয়েছে, সেখানে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এসব ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের বিষয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রুমা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলা উদ্ধার করা না গেলেও র্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সবার প্রচেষ্টায় কোনোরূপ ঝুঁকি না নিয়ে কৌশল ব্যবহার করে অপহরণের শিকার রুমা সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে গোপনীয়তার কারণে কোন কৌশল অবলম্বন এবং রুমার কোন স্থান থেকে ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে জানাননি তিনি। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান।