গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আক্তার হোসেন গাজী (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০জন। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের আট্রাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্তার হোসেন গাজী কোটালীপাড়া উপজেলার আট্রাবাড়ি গ্রামের সামচুল হক গাজীর ছেলে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বলেন, ‘আট্রাবাড়ি গ্রামে জমি নিয়ে ওহাব আলী গাজীর সাথে একই গ্রামের সোহরাব হোসেন গাজীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সোহরাব হোসেন গাজী তার লাকজন নিয়ে ওহাব আলী গাজীদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ওহাব আলী গাজী (৫০), হালিম গাজী (৫৫) ও আক্তার হোসেন গাজীসহ ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আক্তার হোসেন গাজীসহ তিনজনকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এখানে আক্তার হোসেন গাজীর শারীরিক অবস্থার অনবতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে তিনি মারা যান।
আক্তার হোসেন গাজীর মৃত্যু সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওহাব আলী গাজীর লোকজন হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষ মাহবুব গাজী, সোহরাব গাজী, নাসির গাজী, বাদল গাজী, আইউব গাজীসহ প্রায় ১৫ ব্যক্তির বসতঘর ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নিহত আক্তার হোসেন গাজীর পরিবারে পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
নিহতের ভাই ওহাব আলী গাজী বলেন, ‘আমাদের জমিতে সোহরাব হোসেন গাজী জোর করে ব্লক নির্মাণ করেছে। আমরা এর প্রতিবার করায় সোহরাব হোসেন গাজী তার লোকজন নিয়ে আমাদের হামলা করেছে। হামলায় আমার ভাই আক্তার হোসেন গাজী নিহত হয়েছে।’
এ ব্যাপারে সোহরাব হোসেন গাজীর চাচাতো ভাই মাহবুব গাজী বলেন, ‘মারামারির ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। কিন্তু ওহাব আলী গাজীর লোকজন আমার বাড়িটি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’