একতরফা নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, জনগণ ডামি প্রার্থির ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবে। শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে কুত্তামার্কা নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে তামাশা না করে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থিদের প্রজ্ঞাপন জারি করে এমপিদের তালিকা প্রকাশ করতে পারতেন।
এতে হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় হতো না এবং সংঘাত-সংঘর্ষের মাধ্যমে জীবনহানী ঘটতো না।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টন এলাকায় বাংলাদেশ লেবার পার্টির পক্ষে ডামি নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ কালে সাংবাদিকদের সঙ্গে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থিরা এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার হরণকারীদের বিভিন্নভাবে নাজেহাল করছে। আওয়ামী লীহ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে গায়েবি মামলায় ফাসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
কর্মসূচিতে লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মো: হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, মহানগর নেতা এনামুল হক, মো: লিটন খান, ছাত্রমিশনের সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান সহ নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেন।