ফ্লোরিডার একটি বিমানঘাঁটিতে সৌদি বিমানবাহিনীর এক সেনার গুলিতে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সোমবার সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
তাদের অভিযোগ, ওই হামলার ঘটনায় সৌদি সরকার জানত যে, বন্দুকধারীর সঙ্গে আলকায়েদার যোগসাজশ ছিল।
২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বরে ওই হামলা হয়েছিল। স্থানটি ছিল নৌ-বিমানঘাঁটি পেনসাকোলায় বিদেশি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ স্থাপনা। এতে মার্কিন সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, হামলাকারী ছিলেন রাজকীয় সৌদি বিমানবাহিনীর ফ্লাইটের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আল-সামরানি। বহু বছর ধরে তিনি এই হামলার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। একটি এনক্রেপ্টেড সেলফোনের মাধ্যমে আলকায়েদার সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো। এমনকি তিনি জিহাদি মতবাদের কথাও প্রচার করেছিলেন।
ঘটনাস্থলে আল-সামরানিকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। হামলার আগের দিনও তিনি আলকায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ ঘটনায় পেনসাকোলায় কেন্দ্রীয় আদালতে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মামলা করা হয়েছে। হতাহতদের পরিবারের দাবি, ওই বিমান ক্রুর জিহাদি মতাদর্শ ও আমেরিকানবিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সৌদি সরকার জানত।
মামলায় বলা হয়, সৌদি বিমানবাহিনীতে আল-সামরানির চাকরিকালে সামাজিকমাধ্যমে নিয়মিত উগ্রপন্থি মতাদর্শ পোস্ট দিত। যার মধ্যে আমেরিকা ও ইহুদিবিদ্বেষও থাকত। অন্যদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন তিনি।