গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক এসআই সাইফুল আলম , কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে পুলিশের দুই সোর্স ও গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে। তারা হলেন- সোর্স রিপন ও হারুন এবং গাড়ি চালক রাজু । তাদের তিনজনের বাড়ি সীতাকুণ্ড এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন নিলোখিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার জহুরুল হকের ছেলে মো. আবু জাফর । তিনি গাজীপুর জেলার গাছা এলাকায় বসবাস করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর মো. আবু জাফর একটি পিকআপ গাড়ি কেনার উদ্দেশ্যে গাজীপুর থেকে সীতাকুণ্ডে আসেন। কিন্তু দরদামে বনিবনা না হওয়ায় তিনি গাড়ি না কিনে সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড পৌর সদর বাসস্ট্যান্ডে শ্যামলী বাস কাউন্টারে অপেক্ষা করতে থাকেন। সেখানে দুইজন লোক তার পাশে এসে বসেন। তারা আবু জাফরের কাছে কোন জায়গা থেকে এসেছে জানতে চান। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সীতাকুণ্ড থানার এসআই মো. সাইফুল আলম ও ওসির বডিগার্ড কনস্টেবল মো. সাইফুল ইসলাম। তারা নিজেদের ডিবি হিসেবে পরিচয় দেয় এবং জাফরের কাছে ইয়াবা রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে পেটে ইয়াবা রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে এক্স-রে করান। কিন্তু ইয়াবা না পেলেও পরে আরও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গাড়ি ক্রয়ের জন্য তার সঙ্গে রাখা ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং ভয় দেখিয়ে একটি গাড়িতে তুলে দেয়। আবু জাফর গাড়িতে করে ঢাকায় চলে যান। কিন্তু অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা এভাবে লুটে নেওয়ায় আবু জাফর তা মানতে পারেননি। তিনি পুনরায় সুবিচারের আশায় সীতাকুণ্ড থানায় এসে ঘটনা জানান। ঘটনাটি জানতে পেরে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত এসআই সাইফুল আলম, কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।