কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে প্রকাশনা শিল্পের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারণ মানুষ কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে বই পড়ছে। তাই উন্নত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে মুদ্রিত বইয়ের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা যায় সেদিকে প্রকাশকদের দৃষ্টি দিতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রকাশনা শিল্পকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যাবে, সে উপায় প্রকাশকদের খুঁজে বের করতে হবে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৯-২০২০-এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের রাতারাতি বড়লোক হওয়ার সুযোগ নেই। এটি একটি অত্যন্ত মহৎ, সৃজনশীল ও মেধা বিকাশের পেশা। মানবসভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়নে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পেশাকে সেভাবেই মূল্যায়ন করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশি সাহায্য-নির্ভর দেশ নয়। আগে বাজেটের ১৫-২০ ভাগ আসত বিদেশি সাহায্য থেকে, তা কমে এখন ২ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। বিশ্বব্যাংকসহ দাতা দেশ ও প্রতিষ্ঠান সাহায্য দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা দেখাতো, নিজেদেরকে এই দেশের কিং (রাজা) মনে করতো। কিন্তু এখন তারা আর কিং নেই। এখন এ দেশের কিং হচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ; তাদের হাতেই সব ক্ষমতা।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, সন্তানের শিক্ষার বিনিয়োগই শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত সৃজনশীল বই পাঠে শিশুদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি এ সময় পুস্তক প্রকাশকদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই অধিক পরিমাণে প্রকাশের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটনের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সমিতির প্রথম সহ-সভাপতি কায়সার ই আলম প্রধান, সহ-সভাপতি শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।