চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) চমেক অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা ক্যাম্পাস ২৭ নভেম্বর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
upay
জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে পরদিন ৩০ অক্টোবর সকালে কলেজের ফটকের সামনে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের এই দুটি পক্ষের মধ্যে একটির নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিনের এবং অপরটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে জানানো হয়েছিল। সংঘর্ষে মাহফুজুল হক, নাইমুল ইসলাম ও মাহাদি জে আকিব আহত হন। এর মধ্যে আকিবের অবস্থা গুরুতর ছিল। তার মাথার খুলি থেঁতলে গিয়েছিল। এতে তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় করতে হয়েছিল অস্ত্রোপচার।
এদিকে সংঘর্ষের পর একই দিন বিকেলে জরুরি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। আর ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় কমিটি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কলেজের ৩০ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় মেয়েদের হল শিগগিরই খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ছেলেদের হল কিছুদিন পরে খুলে দেওয়া হবে। তবে মেয়েদের হল ঠিক কবে খোলা হবে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি তিনি।