চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় ১১টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকদের করা আবেদনের ওপর আগামী ১৬ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বুধবার এ আদেশ দেন। ইটভাটা মালিকদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ কামরুল হোসেন।
যে ১১টি ইটভাটা বন্ধে বাঁধা থাকলো না সেগুলো হলো- শাহ মজিদা ব্রিক, এ এইচ ব্রিকস, শাহ জব্বারিয়া ব্রিক ফিল্ড, বার আওলিয়া ব্রিক ফিল্ডস, রুন্তী ব্রিক ম্যানুফাকচারার, আরর ব্রিক ম্যানুফাকচারার, পদ্মা ব্রিকস, মহাজন মসজিদ ব্রিকস, শাহ জব্বারিয়া ব্রিকস, পুটিভিলা মাওলানা ব্রিকস ম্যানুফাকচারার এবং খাজা ব্রিকস।
এইচআরপিবি’র করা এক আবেদনে হাইকোর্ট গতবছর ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে যেসকল ইটভাটা কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে তাদের তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে লোহাগড়ার ১১টি ইটভাটা মালিক আপিল বিভাগে আবেদন করে। গতকাল এ আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
এছাড়াও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জানুয়ারি পৃথক এক আদেশে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক(ডিসি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে নির্দেশ দেন। এবিষয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টের এ বেঞ্চে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।