বগুড়া মালগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ মারা গেছেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ। গত ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মালগ্রাম ডাবতলার মোড়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার রেজাউল ইসলামের ছেলে নাজমুল হাসান অরেঞ্জ এবং একই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আপেল।
অরেঞ্জের চোখের নিচে আর আপেলের পেটে গুলি লাগে। এদের মধ্যে সংগঠনের জেলা কমিটির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক অরেঞ্জকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) হয়।
এ ঘটনায় ৩ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে বগুড়া সদর থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্নালী আক্তার। মামলায় উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- বগুড়া মালগ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদ (৩২), রাসেলের ছোট ভাই রাছানী (২৭), শহরের ডাবতলা মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪৮), একই এলাকার খাইরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২০), বেলতলা এলাকার মতিন শেখের ছেলে শাকিব (২২), মালগ্রাম এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে হাবিব (২৪) এবং একই এলাকার আইনুল কসাইয়ের ছেলে টিপু (২৬)। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জনকে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার ৭ নম্বর আসামি টিপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা জানান, লাশ মর্গে পাঠানো হবে। আর এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।