চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা-মুজিবনগর সড়কের রাস্তা নির্মান কাজে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা ২আসনের মাননীয় এমপি জনাব হাজী আলী আজগর টগর, বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মনিরা পারভীন, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক, জনাব মাহফুজুর রহমান মনজু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ও ঠিকাদার জহিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে দর্শনা-মুজিবনগর সড়কের কাজের উদ্বোধন করা হয়।
এ কাজের ব্যয় ধরা হয় ১৪৯ কোটি টাকা। দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থেকে নাটুদাহ ২৩ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ১২০ কোটি এবংমেহেরপুর জেলায় ৭কিলোমিটারে জন্য ২৯ কোটিসহ মোট ১৪৯ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়। দীর্ঘ একবছর করোনার কারনে কাজ বন্ধ থাকলে এখনো কোনো কাজের অগ্রগতি লক্ষ করা যায় নি।
রাস্তায় চলাচল করলে বোঝা যায় যে রাস্তা কতটা খারাপ ও কতটা ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। জনসাধারনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে, যতটুকু কাজ হয়েছে তা না হওয়ার মতোই। কারন জানতে চাইলে বলে, যে যেখানে অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো অপসারন না করেই চলছে রাস্তা নির্মানের কাজ।
নির্মানকৃত রাস্তা ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় রাস্তা কাজ ভালো হলেও কোথাও কোথাও রয়ে গেছে অবৈধ স্থাপনা আবার সরু, কালভার্টও গাছ।অবৈধ স্থাপনা ও গাছ না কেটে গাছের জায়গা টুকু ফাকা রেখে চলছে বালি দেওয়া ও ইটের খুয়া দেওয়ার কাজ।
রাস্তায় কর্মরত শ্রমিক দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে আমরা এসব কিছু জানি না।আর আমাদের যেভাবে কাজ করতে বলবে আমরা সেভাবে করবো।তাদের কাছ থেকে আরো জানা যায়, রাস্তার উভয় পাশের গাছও অবৈধ স্থাপনা অপসারনের কথা থাকলেও তা এক বছরে কোনো পরিলক্ষিত করা যায় নি।তাই সময় ও রাস্তার দিকে লক্ষ করেই আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে প্রধান ঠিকাদার জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কোনো ভাবেই তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।বর্তমানে জনসাধারণের মনে একটাই প্রশ্ন বৃদ্ধ করছে যে যদি এভাবেই রাস্তার কাজ সম্পর্ন হয় তাহলে রাস্তার মানের দিকে লক্ষ করা জরুরি।