শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় এক ট্রাক বই জব্দ করেছে পুলিশ। বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য দেওয়া এসব বই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে ধারণা শিক্ষা বিভাগের। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ভাঙারি ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরের হেমন্ত মোদকের ছেলে অমৃত মোদক ও মানিককুড়া গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়া। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে ঝিনাইগাতী বাজার এলাকা থেকে বইসহ তাঁদের আটক করে পুলিশ।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুলিশ ঝিনাইগাতী বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী হেমন্ত ও সেলিম মিয়ার দোকানের সামনে একটি ট্রাক পাওয়া যায়। ওই ট্রাকে মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির বই ছিল। ট্রাক থেকে মোট ৩ হাজার ৭০০ কেজি ওজনের বই জব্দ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির বই। পরে হেমন্ত ও সেলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ বলছে, তারা আটক হওয়া হেমন্ত ও সেলিমের সঙ্গে কথা বলে এই বইয়ের উৎস জানার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেছেন, এলাকায় ভাঙারি মালামালের বেশ কয়েকজন ফেরিওয়ালা রয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পুরোনো মালামাল কেনেন। এরপর তাঁদের (হেমন্ত ও সেলিম) দোকানে বিক্রি করেছেন। এভাবেই বইগুলো পেয়েছেন বলে ওই দুজন দাবি করেছেন। বই জব্দের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষা বিভাগে বই আসার পর সেগুলো চাহিদা অনুয়ায়ী নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়। সুতরাং জব্দ বইগুলো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিক্রি করা হতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন, শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় নিয়মিত মামলা হবে। পরে পুলিশ মামলার তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।