দুর্বার রাজশাহী টানা দুই ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে প্লে অফে খেলার দৌড়ে নিজেদের অবস্থান জোরালো করেছে। ফলে কঠিন সমীকরণের মুখে পড়ে গেছে খুলনা টাইগার্স। রাজশাহীর চেয়ে এগিয়ে থাকতে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না মেহেদী হাসান মিরাজের দলের।
যদিও এমন ম্যাচেই তারা হেরে গেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। এদিকে খুলনাকে হারিয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানের আরও কাছে চলে গেল বরিশাল। সমান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এখনও রংপুর। বরিশাল রান রেটে পিছিয়ে দুইয়ে। স্কোরবোর্ডে ১৮৭ রান তুলেও ম্যাচ হার নিশ্চিতভাবেই পোড়াবে খুলনা টাইগার্সকে।
এই ম্যাচে তামিম ইকবালের সঙ্গে বরিশালের ইনিংস শুরু করেন তাওহীদ হৃদয়। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ব্যক্তিগত ১১ রানেই সাজঘরে ফেরেন হৃদয়। আবু হায়দার রনিকে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারার পরের বলেই আউট হয়েছেন হৃদয়। বাঁহাতি পেসারের মিডল স্টাম্পে পড়া ডেলিভারিতে লেগ বিফোর হয়েছেন তিনি। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় খুলনা।
ডানহাতি এই ব্যাটারকে হারানোর পরও পাওয়ার প্লেতে দাপট দেখিয়েছে তারা। তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন ডেভিড মালান। ইংলিশ ব্যাটারের ব্যাটেই পাওয়ার প্লে শেষে এক উইকেট ৫৬ রান তোলে বরিশাল। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড মালানকে নিয়ে বরিশালের রান বাড়িয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
যদিও তামিম ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি ২৫ বলে ২৭ রান করে সালমান ইরশাদের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন আফিফ হোসেনের হাতে। এর আগেই অবশ্য মালান মাত্র ২৯ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। মালানকে ফেরান আফিফ হোসেন। বড় ইনিংসের পথেই হাঁটছিলেন মালান।
তবে আফিফের টসড আপ ডেলিভারিতে এক্সট্রা কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাইম শেখের হাতে ক্যাচ দেন এই ইংলিশ ব্যাটার। এরপর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে টানছিলেন বরিশালকে। তবে এই জুটি ভেঙেছে ভুল বোঝাবুঝিতে মাহমুদউল্লাহর রান আউটে। ডিপ থেকে সরাসরি থ্রুতে স্টাম্প ভেঙে ফিরিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
খানিক বাদে আবু হায়দার রনির স্লোয়ার বলে মিড অফে মিরাজকে ক্যাচ দেন ১৭ বলে ২৪ রান করা মুশফিক। অবশ্য এরপর বরিশালকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নবি। ফাহিম ৬ বলে ১৮ ও নবি ১০ বলে ১৫ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।
এর আগে নাইম শেখের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে মিরাজের ২৯, আফিফের ৩২ রানে ভর করে বড় সংগ্রহের ভিত পায় খুলনা। শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও উইল বসিস্তো অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের জুটি গড়ে খুলনার রান নিয়ে যান ১৮৭ রানে। অঙ্কন ১২ বলে ২৭ ও বসিস্তো ১৬ বলে ২০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।