চট্টগ্রাম নগরের চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ পথচারী ছালেহ আহমেদকে (৫০) ২৪ ঘণ্টায়ও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধারের জন্য খালের বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের মুরাদপুর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় পা পিছলে চশমা খালে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যান ছালেহ আহমেদ। টানা বৃষ্টিতে গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বেশির ভাগ এলাকা ডুবে যায়। অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার কারণে খাল, নালা ও রাস্তা একাকার হয়ে যায়।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে খালের সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। এরপরও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ায় নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ ভেসে উঠতে পারে। তাই খালের বিভিন্ন অংশে নজর রাখা হয়েছে।
ছালেহ চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকায় ব্যবসা করতেন। তাঁর বাসাও ওই এলাকায়। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবার শরিফে যাওয়ার জন্য মুরাদপুরে এসেছিলেন। ওখান থেকে বাসে করে দরবার শরিফে যাওয়ার কথা ছিল।
নগরের চশমা খাল শুলকবহর এলাকার মির্জা খালের সঙ্গে মিশেছে। আর মির্জা খাল বিভিন্ন এলাকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে যুক্ত হয়েছে।
নগরে জলাবদ্ধতার সময় ছয় বছর ধরে নালা-নর্দমা ও খালে পড়ে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা যান গত ৩০ জুন। ওই দিন নগরের মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।