1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন

ক্রেতা নেই আমতলীর কালাপাহাড়ের, বিপাকে মালিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১

বরগুনার আমতলী উপজেলার শ্রেষ্ঠ ষাড় কালাপাহারের কোনো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। কোরবানীর হাটে ১০ লাখ টাকা মূল্য হাকা কালাপাহারের জন্য প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদি পশুর হাটেও কোনো ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছে কালাপাহার ষাড়ের মালিক প্রবাসী গাজী আলমগীর হোসেন।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা মমিন গাজীর ছেলে সৌদি প্রবাসী গাজী আলমগীর হোসেন দীর্ঘ ১৬ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে ২০১৮ সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে গাভী পালনের সিদ্ধান্ত নেন। ওই বছর প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শে ঝিনাইদহ থেকে ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫টি গাভী কিনে গাজী ডেইরি ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ওই বছরই তার প্রতিষ্ঠানে জন্ম হয় কালাপাহারের। গত দুই বছর ৬ মাসে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শে কালাপাহার দৈত্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে কালাপাহারের ওজন হয়েছে প্রায় ৩০ মণ। চলতি বছরের ৫ জুনে অনুষ্ঠিত উপজেলা প্রাণী সম্পদ প্রর্দশনীতেও কালাপাহার ষাড় ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ষাড়ের পুরস্কার পায়।

কিন্তু কোরবানীর হাটে কালাপাহার ষাড়ের মূল্য ১০ লাখ টাকা হাকা হলেও তার কোনো ক্রেতা নেই আমতলীতে। প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদি পশুর হাটেও এর কোনো ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে কালাপাহারকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে মালিক প্রবাসী গাজী আলমগীর হোসেন।

গাজী ডেইরি ফার্মের মালিক প্রবাসী গাজী আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের বুদ্ধি পরামর্শে অনেক আদর যত্ন করে কালোপাহারকে বড় করেছি। আড়াই বছরে কালাপাহারের ওজন প্রায় ৩০ মণ হলেও স্থানীয়ভাবে ওকে বিক্রি করার জন্য কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছি না। প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদী পশুর হাটেও এখন পর্যন্ত কালাপাহারের কোনো ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে গরুটি নিয়ে চিন্তায় আছি। একে লালন পালন করা খুবই কষ্টসাধ্য। ১০ লাখ টাকা দাম হেকেছি ন্যায্য মূল্য পেলে বিক্রি করে দেব।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অভিজিদ কুমার মোদক মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ প্রর্দশনীতে ষাড় ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পাওয়া ৩০ মণ ওজনের কালাপাহারকে বিক্রির জন্য স্থানীয়ভাবে কোনো ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা আমাদের প্রাণী সম্পদের অনলাইন গবাদী পশুর হাটেও ক্রেতা খুঁজছি। বিক্রি করতে না পারলে কালাপাহারকে নিয়ে মালিক খুবই সমস্যায় পড়ে যাবে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব