ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে ১৬ ডিসেম্বর হকি ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু নির্ধারণ, মিরপুরের একাডেমি মাঠে পাকিস্তানী ক্রিকেট দলের পতাকা উড়ানোর ধৃষ্টতাকে ইচ্ছাকৃত ও ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সময় এসব ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, মাঠে প্র্যাকটিসের সময় পতাকা উড়ানো, ১৬ ডিসেম্বর হকি ফাইনাল খেলার তারিখ নির্ধারণ- এর সবই এক শ্রেণির ঘৃণ্য পরিকল্পনার অংশ। একাত্তর সালের পরাজয়কে তারা এখনও মেনে নিতে পারেনি। এমন কী, বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবেও স্বীকৃতি দেয়নি তারা।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সরকার যখন ক্ষমতায়, তখন একের পর এক এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা কী করে ঘটে চলছে? এ ব্যাপারে বিসিবি, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কোনো ভূমিকা নেই কেন? তাছাড়া ভারত পাকিস্তানের হকি ফাইনাল খেলার তারিখ কেনো আমাদের মহান বিজয়ের ৫০ বছরের দিনে অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বরেই করতে হবে? তাও ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে (বর্তমান ভাসানী স্টেডিয়াম)! ক্রীড়াঙ্গনে এত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটার পরও কোনো পদক্ষেপ, বিবৃতি বা ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য আমরা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বিসিবি সভাপতি এবং হকি ফেডারেশনের সভাপতির পদত্যাগ দাবি করছি।
বক্তারা বলেন, পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের এমন ঘৃণিত আচরণকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান উদ্দেশ্যমূলক ও পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমকে অপমান করেছে। এ ঘটনার জন্য অনতিবিলম্বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ও সেদেশের সরকারের তরফ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষর ও সংহতি প্রকাশকারী বিশিষ্ট নাগরিকগণ হচ্ছেন- আবদুল গাফফার চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বিচারপতি গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাংসদ এরমা দত্ত, সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, অধ্যাপক কামরুল হাসান, সেলিনা হোসেন, ড. ওয়াহিদুজ্জামান চান, জেনারেল হারুনুর রশীদ, সাংবাদিক আবেদ খান, রামেন্দু মজুমদার, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, গোলাম কুদ্দুস, পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ওয়ালিউর রহমান, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ড. আতিউর রহমান, মফিদুল হক, অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, আসিফ মুনীর, কবির চৌধুরী তন্ময়, অধ্যাপক নুজহাত চৌধুরী শম্পা, কামাল পাশা চৌধুরী, মমতাজ লতিফ, রাসেদ চৌধুরী প্রমুখ।