যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা ভবন বা ক্যাপিটল ভবনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গ ছাড়ছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। এ হামলার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবির–নির্বিশেষে। বিশ্বনেতারাও পিছিয়ে নেই সমালোচনায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গ ছাড়ার তালিকায় একেবারে প্রথমেই আছেন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউস। তিনি বলেছেন, ‘আজ কংগ্রেস হলে যা দেখলাম, তাতে আমি ভীষণভাবে বিরক্ত। আমাদের দেশে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর প্রয়োজন।’
সারাহ বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনে যুক্ত থাকতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করি। এ সময় যেসব নীতি নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য আমি গর্বিত।’
সারাহর আগে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের সাবেক প্রেস সচিব স্টেফানি গ্রিসহাম পদত্যাগ করেন। তবে তাঁর পদত্যাগের সঙ্গে ক্যাপিটল ভবনে হামলার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা নিশ্চিত না।
পদত্যাগের পর স্টেফানি বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে কাজের মাধ্যমে এ দেশ সেবার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করি। মিসেস ট্রাম্প যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের সহযোগিতা করেছেন, এর অংশীজন হতে পেরে আমি গর্বিত। এ প্রশাসনের অনেক কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত থেকেও গর্ব বোধ করি।’
এদিকে এ হামলার পর সরব হয়েছেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির অনেকেই।
রিপাবলিকান পার্টির নেব্রাস্কার সিনেটর বেন সাসে বলেছেন, ‘এটা একটা নোংরা দিন। আমরা আমাদের শিশুদের কখনোই বলতে চাইব না যে যুক্তরাষ্ট্রের সোনালি অতীত আমাদের আছে। কারণ, এটা সত্য না। আমরা এমনটা নই।’
গতকালই জর্জিয়ায় সিনেটের ভোটে হেরে যান রিপাবলিকান প্রার্থী কেলি লয়েফলার। তিনিও সমালোচনায় সরব।