কোম্পানীগঞ্জে মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশস্থলে ককটেল বিষ্ফোরনের জের ধরে ভাঙচুর ঘটনা ঘটেছে। মির্জা কাদেরের অনুসারীরা এ হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে মির্জা বিরোধী পক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বসুরহাট বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজনের হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল ও তার অনুসারীরা)। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়কের মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালান আবদুল কাদেরের সমর্থকরা। এসময় উভয়পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ফোনে জানান, গতকাল যারা মুজিব শত বর্ষ উদযাপনের মঞ্চ ভাঙচুর করেছে জনগণ আজকে তাদের প্রতিহত করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক রনি জানান, দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনিসহ তার চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মোট আহত সংখ্যা ২০। বিকেলে সমাবেশ স্থলের বাইরে ককটেল বিষ্ফোরণের পর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।