আগের দিনও ছিলেন তারা মাঠে। ব্যাট করছেন, ফিল্ডিংও করেছেন। তবে চতুর্থ দিন সকাল থেকেই অসুস্থ অনুভব করতে থাকেন সেরেল এইউইয়া ও ভিয়ান মুল্ডার। পরে রেপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করে দেখা যায় তারা কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন তারা। আইসিসির প্রোটোকল অনুযায়ী তাদের বদলে দুজন ক্রিকেটারকে ম্যাচের মধ্যেই একাদশে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।
একাদশে এসেছেন খায়া জন্ডু ও গ্লেন্টন স্টুর্নাম। খায়া জন্ডুর এটি প্রথম টেস্ট। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি বলছে কেবল ফিল্ডিং করা ছাড়া তার বিশেষ কাজ থাকবে না। তবে তারা ঢুকে গেছেন একটি ইতিহাসে। তারাই ক্রিকেটের প্রথম কোভিড বদলি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) জানায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে মিলে তৈরি করা সিরিজের আগের প্রোটোকল অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিএসএ’র প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. শুয়াইব মাঞ্জরা বলেন, ‘কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি। কিন্তু প্রটোকল থাকায় আমরা একটা সমাধান বের করতে পেরেছি। আক্রান্ত দুই ক্রিকেটারকে টিম হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের অবস্থা দেখভাল করা হচ্ছে।’
করোনাভাইরাস মহামারির পর খেলা চালু হলে কিছু নিয়ম তৈরি করে আইসিসি। এই সময়ে খেলার মাঝে কোন ক্রিকেটার কোভিড-১৯ পজিটিভ হলে খেলার মাঝে খেলোয়াড় বদলের ব্যবস্থা রাখা হয়। এই টেস্টে বাংলাদেশ দলেও হানা দেয় কোভিড। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আছেন আইসোলেশনে।
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে বাংলাদেশের অবস্থা বেহাল। ৪১৩ রান তাড়ায় নেমে আগের দিনই ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে দল। চতুর্থ দিন নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুমিনুল হকের দলের স্কোর ৬ উইকেটে ৪৯।