কোভিড-১৯ ঊর্দ্বগতি রোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্ম লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে গতদিনের মতো আজও মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী। তারা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছেন। গাড়ি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু ও ৮ সহস্রাধিক ব্যক্তির আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই তথ্যে জনমনে শঙ্কা বেড়েছে। সে কারণে শুক্রবার সকালে সড়কে লোকজন কম দেখা গেছে। এছাড়া সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই প্রয়োজন থাকলেও ঘর থেকে বের হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা আছে, রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে আজ সকালে লোকজনের উপস্থিতি ছিল। ছুটির দিন সকালে নগরবাসীর অনেকেই বাজার করে থাকেন।
লকডাউন বাস্তবায়নে এবার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস সাত দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে।
কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
চলমান লকডাউন অমান্য করে প্রথম দিন অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ার অভিযোগে রাজধানীতে পুলিশের আটটি বিভাগ অভিযান পরিচালনা করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালানো এসব অভিযানে ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আটটি বিভাগের ৫১টি থানা এলাকায় বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২১২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৩৯১ জনকে।
লকডাউনে বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের ও দোকানপাট খোলা রাখায় ৫১টি মামলায় ৫১ হাজার ২০০ টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ডিএনসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবারও এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী অকারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় সাড়ে পাঁচশ’ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে বলে ডিএমপি জানায়।