কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে গত ২ জানুয়ারি যোগদান করেছিলেন ফারুক আহমেদ। তিনি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর ৪৮ দিনের মধ্যে পুলিশের সদস্যরা এক টন মাদক উদ্ধারের মাইলফলক অর্জন করেছে। আর ৫০ দিনের মধ্যে মাদকের সঙ্গে জড়িত ৪১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদক উদ্ধার ও মাদকে জড়িতদের গ্রেফতার, বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আজিম উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সজিব খানসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘একটি গ্রাম থেকে একটি দেশ, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ’ এ স্লোগানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। গত ২ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাদকে জড়িত থাকায় ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৪১৫ জনকে। আর ৪৮ দিনে মোট এক টন গাঁজা উদ্ধারের মাইলফলক অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, মোট ৫০ দিনের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে এক হাজার ৪৬ কেজি গাঁজা, ইয়াবা ১৮ হাজার ৪১৪ পিস, ফেনসিডিল চার হাজার ৭০৫ বোতল, দেশীয় মদ ৩১৭ লিটার, বিদেশি মদ, বিয়ার ও নেশাজাতীয় সিরাপ প্রায় ৬৩৯ বোতল। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯২ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকা।
আসামি গ্রেফতার নিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত জানুয়ারি মাসে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়েছে এক হাজার ৩০০টি। যেখানে গত বছরের জানুয়ারিতে হয়েছিল ৮৬০টি। এক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৫১ শতাংশ। এ সময়ে সাজা পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়েছে ২১০টি। গত বছরের জানুয়ারিতে হয়েছিল ১০০টি। এক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ১১৩ শতাংশ।