কার্যালয়ে ডুকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৯ নম্বর আসামি মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তাকে জেলার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলায় ২ আসামি গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে বুধবার মামলার চার নম্বর আসামি মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যৌথ অভিযান চালিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে। কোথাও পালিয়ে যেতে মাসুম চান্দিনা বাসস্ট্যান্ডে এসেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রুমন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পাশের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি শাহ আলমকে। এছাড়া তার সহযোগী সোহেল মিয়া ওরফে জেল সোহেলকে মামলার দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে।
গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দুজন। কাউন্সিলর সোহেলকে এলোপাতাড়ি ৯টি গুলি করে ঘাতকরা। এতে তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যায়। হামলাকারীদের পিস্তলের ২টি গুলি সোহেলের মাথায়, ২টি বুকে, অন্য ৫টি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে।
কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বুকে ও পেটে গুলি লেগেছিল। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।