*পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর- সাবেক এমপি জাহের ও সাবেক এমপি আজাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে যে কোন সময়*
কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি এম এ জাহের এবং তার ভাতিজা কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব অপি এর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এর সত্যতা উঠে এসেছে দুদকের তদন্তে । দুদক এর বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এমপি হওয়ার পূর্বেই জাহের ও তার পুত্রের নামে একটি তদন্ত চলমান ছিল। ৫ আগস্টের বিপ্লব পরবর্তী সময় থেকে তারা পলাতক। এর মধ্যেই দুদকে সাবেক এমপি এম এ জাহের এবং তার ভাতিজা কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব অপির অকর্মের ফিরিস্তি সম্বলিত আরো একটি নতুন অভিযোগ আসে দুদকের হাতে যার পরিপ্রেক্ষিতে দুদক বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেয়।
সূত্র নিশ্চিত করে যে, তদন্তে তারা জাহের ও তার পরিবারের আয়-ব্যয়ের ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা পেয়েছে। এমনকি সম্পদ বিবরণীতে যা প্রদর্শন করা হয়েছে তার থেকে অনেক গুণ বেশি স্থাবর সম্পদের খোজ তারা পেয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সূত্র জানায় যে, তারা অভিযুক্তের ঠিকানায় চিঠি প্রেরণ করেছে ইতোমধ্যে এবং জাহের ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে যে কোন সময়। এ বিষয়ে জাহেরে প্রতিষ্ঠান মল্লিকা গ্রুপের ম্যানেজার টুটুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জাহের ও তার পরিবারের সদস্যরা কে কোথায় আছে তা তারা জানেন না এবং কোন যোগাযোগ ও নেই।
কুমিল্লা-৪ আসনের সাবেক এমপি ও ঢাকা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের অভিযোগের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে সূত্র জানায়, ব্যাংক লোন আত্মসাৎ ও লোন পরিশোধ না করার ব্যাপারটি তারা সত্যতা পেয়েছে। কাদের সহযোগিতায় লোনটি আজাদ পেল বা ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা এর সাথে জড়িত এ বিষয়টি ও তারা গুরুত্বের সাথে দেখছে। আজাদ ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা ও স্থাবর -অস্থাবর সম্পদের চুলচেরা অনুসন্ধান চলছে এবং প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাব জব্দ তথা দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা ও হতে পারে বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য যে, জাহের ও আজাদ উভয়ই সাবেক এমপি বাহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিল। ইতোমধ্যে সাবেক এমপি বাহার তার কন্যা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র সূচনা, সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের পিএস কামাল ও তার অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে ও তদন্ত চলমান আছে।