নড়াইলের সাবেক এসপি জসিম উদ্দিনের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এসপি তাঁর মদদপুষ্ট অাসামীদের দিয়ে নড়াইলের সুন্দরী তানিয়ার বুকে ও পিঠে এসিড দিয়ে জ্বলসে দিয়েছে। হাসপাতালেও তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র চালায় এসপির লোকজন। এসিড দগ্ধ তানিয়া জীবন বাঁচাতে বর্তমান পালিয়ে পালিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সে বাঁচতে চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাজে জীবনের নিরাপত্তা চায়।
এসিড দগ্ধ অবস্থায় মুমূর্ষু অবস্থায় তানিয়াকে গত ১৭/৮/২০২০ইং নড়াইল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরের অবস্থা ক্রমেই অবনতি হওয়ায়, চিকিৎসকরা ঐ রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
তানিয়া অাক্তারের বুক ও পিঠ সম্পুর্নরুপে জলসে দিয়েছে। ১৮ অাগস্ট রাত ১টা নাগাদ তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বার্ন ইউনিটিতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেও এসপির মদদপুষ্ট অাসামীরা নার্স ইনচার্জ সফুরা বেগম ও তার সহযোগী বাদশার মাধ্যমে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
তানিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে অন্য নার্স ও রোগীদের কাছ থেকে জানতে পেরে তানিয়ার লোকজন তানিয়াকে বাঁচাতে পালিয়ে ঢাকায় নিয়ে অাসে।
নার্স ইনচার্জ সফরা অাসামীদের কাছে এসিড দগ্ধ তানিয়ার চিকিৎসার সব ফাইলপত্র তুলে দেয়।
এসিড দগ্ধ তানিয়াকে গত ২১/১০/২০২০ইং
ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাপত্র দিলেও করোনার কারনে তাকে সেখানে ভর্তি না নিয়ে, এসিড সারবাইব ফাউন্ডেশনে প্রেরন করে। জীবন নাশের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে
মিরপুর একজন সমাজসেবীর অাশ্রয় থেকে নিয়মিত এসিড সারবাইব ফাউন্ডেশনে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ রবিউল করিম খান ( পাপন) এর চিকিৎসাধীন রযেছেন।
জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ দিকে এসিড দগ্ধ হওয়ার পর এসপি জসিম উদ্দিনের নির্দেশে নড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সুকান্ত এসিড দগ্ধ তানিয়া অাক্তারের কাছ থেকে সাদা কাগজে তানিয়া অাক্তার স্বাক্ষর নিতে যায়। অসুস্থ তানিয়া সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিনে অস্বীকৃতি জাননে ওসি তদন্ত সুকান্ত এসিড দগ্ধ তানিয়াকে সবার সামনে মারধর করে। পুলিশের ভয়ে ও অব্যাহত হুমকির ফলে তানিয়ার বোন বাদী হয়ে এসিড নিক্ষেপকারী বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। নড়াইল থানা পুলিশ মামলাটি দ্রুত ফাইনাল রিপোর্ট দেয়।
তানিয়ার পক্ষের বাদি তার বোন অাদালতে না রাজি দিলে, অাদালত মামলাটি তদন্ত
সিঅাইডির উপর ন্যাস্ত করে, সি অাই ডি’র ডিঅাইজি শেখ নাজমুল
তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
এ বিষয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাথে সাক্ষাৎ করেও কোন বিচার পায়নি। তিনি লম্পট পুলিশ সুপারকে ফোন করেন ও তাকে নির্দেশ দেন ব্যবস্থা নিতে।
পুলিশের মহা পরিদর্শক বরারবর অাবেদন করা হলে, অাইজিপির নির্দেশে বিষয়টি পিবিঅাই তদন্ত করছে।
তানিয়ার অাবেদনের প্রেক্ষিতে নড়াইল পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চট্টগ্রাম রেইঞ্জে বদলী করা হয়েছে।
তানিয়া জীবন বাঁচাতে ঢাকায় বেড়াচ্ছে।
বিচারের অাশায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও অাইজিপির দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
এসিড দগ্ধ তানিয়ার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তানিয়া অাক্তারের চিকিৎসায় তার প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ায় তাঁর পরিবার পথে বসেছে।
তানিয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অাশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসিড দগ্ধ তানিয়া অাক্তারের বুক ও পিঠ সম্পুর্ন পুড়ে গেছে।
সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায়। সে দিনের পর দিন গনভবনের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য।
সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচার, জীবনের নিরাপত্তা ও উন্নত চিকিৎসার সহায়তা চান। তানিয়া অাক্তার বর্তমানে ঢাকায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আইডিয়াল হিউম্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সৈয়দা তাহমিনা বেগমের কাছে মাতৃস্নেহে অাশ্রিত থেকে এসিড সারবাইব ফাউন্ডেশনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।