1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

কি না হয় দেশের কারাগার গুলোতে

বিশেষ প্রতিবেদক
  • রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১

মাত্র ছয় মাস আগে গাজীপুরের কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে দিনদুপুরে মই নিয়ে সীমানাপ্রাচীর পেরিয়ে বেরিয়ে যান আবু বকর ছিদ্দিক নামের এক কয়েদি। ওই সময় ১২ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। ছয় মাস না যেতেই পাশের কাশিমপুর-১ কারাগারে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বাইরের এক নারীর সঙ্গে এক বন্দির অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর সুযোগ হয়। এ নিয়ে আলোচনার ঘূর্ণি উঠেছে দেশে। পুরো কারাগারব্যবস্থাই দুর্নীতির কারণে অরক্ষিত হয়ে আছে।

জানা গেছে, কারাগারের অনেক কর্মকর্তা ও রক্ষী মাদক কারবারেও জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে ক্যান্টিনের খাবার ও দর্শনার্থী নিয়ে বাণিজ্য, বন্দিদের নির্যাতন করে অর্থ আদায়, বন্দিদের মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দেওয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কারাগারগুলোকে অনিয়মের আখড়া বানিয়ে কারা কর্মকর্তারা গড়ছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। বস্তাভরা টাকা নিয়ে ধরাও পড়েছেন ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কারা কর্মকর্তা। তাঁদের বিচার চলছে। কিন্তু থেমে নেই টাকার বিনিময়ে অপরাধ করার সুযোগ দেওয়া। সর্বশেষ ‘হলমার্ক’ কেলেঙ্কারির কারাবন্দি তুষার আহমেদের কাশিমপুর-১ কারাগারে এক নারীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর বিষয়টি কারাগারে ভয়াবহ অনিয়মকে সামনে এনেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘কাশিমপুরের ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কারা সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরে শতাধিক কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীকে অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর পরও উন্নতি নেই। কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি প্রিজনস কর্নেল আবরার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যে ঘটনা আমাদের চোখে আসছে সেগুলো তদন্ত করে দেখছি। প্রমাণ পেলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ ‘কারাগারগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। কোন কারাগারে কী হচ্ছে তা ঢাকায় বসেও মনিটর করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ এ কথাও বলেন তিনি।

কাশিমপুরের ঘটনায় কথা বলতে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তাদের মাঝে অসহায়ত্বও দেখা গেছে। এক কর্মকর্তা বলেন, এত চেষ্টার পরও অপরাধ রোধ করা যাচ্ছে না। তাঁর মতে, কর্মকর্তা ও কারারক্ষীদের অপরাধ করার পেছনে অপরাধীদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার কারণে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ও আছে।

তিনি জানান, কারাগারে যে লোকবল রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। অপরাধের কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কারাগারে লোকবলের আরো সংকট দেখা দেয়। আইনি কারণে তাদের পদগুলোতে নতুন লোক নেয়াও যায় না। ফলে নানামুখী জটিলতায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের।

জেল সুপারের কায়দা : কাশিমপুরের ঘটনায় জানা গেছে, ঘটনার সময় জেল সুপার রত্না রায় কারাগারে উপস্থিত থাকলেও তিনি কিছুই জানেন না বলে কারা অধিদপ্তরে তথ্য দিয়েছেন। এই দাবির পক্ষে তিনি ওই দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি জেলার মো. গোলাম সাকলাইন, তানিয়া ফারজানা, সর্বপ্রধান কারারক্ষী আবদুল আজিজ, সহকারী প্রধান কারারক্ষী কাওছার মিয়া, খলিলুর রহমান ও কারারক্ষী শাহানূর ইসলামের সাক্ষ্য নিয়েছেন। সূত্র বলছে, তাঁদের জোর করে এই সাক্ষ্য লেখানো হয়েছে যে ঘটনাটি তাঁরা কেউই জেল সুপারকে (রত্না) জানাননি।

গত ৬ জানুয়ারির ঘটনায় তদন্ত কমিটি হওয়ার আগেই ১২ জানুয়ারি ওই সাক্ষ্য নিয়ে রত্না রায় কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠান। তিনি লেখেন, হাজতি তুষার একজন সাধারণ বন্দি। তিনি শ্রেণিপ্রাপ্ত বন্দি না হওয়ায় তাঁর অফিসে সাক্ষাতের কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত কমিটি গঠনের পর জানা যাচ্ছে, রত্না রায় নিজেকে বাঁচানোর জন্য আগেভাগেই সাক্ষ্য নিয়েছেন। যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁদের কেউ কেউ এখন জানাচ্ছেন, জোর করে জেল সুপার তাঁদের সাক্ষ্য নেন। জেল সুপার ওই নারীর কারাগারে প্রবেশের বিষয়টি জানতেন। কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো চিঠিতে রত্না রায় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, ‘ওই কয়েদির সঙ্গে ওই নারীর সাক্ষাতের জন্য ঘুষ হিসেবে জেলার এক লাখ, ডেপুটি জেলার ২৫ হাজার, সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর ও গেট সহকারী প্রধান কারারক্ষীরা পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।’ সূত্র জানায়, রত্না রায় প্রায় এক বছর আগে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১-এ যোগ দিয়ে নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করেন। কারাগারে সময় না দিয়ে বেশির ভাগ সময় বাসায় বা ঢাকায় কাটান। একটি সূত্র জানায়, স্ত্রী জেল সুপার হওয়ায় তাঁর স্বামীও কারাগারে প্রভাব বিস্তার করেন।

শাস্তিতেও কমছে না অপরাধ : এক হিসাবে দেখা গেছে, গত তিন বছরে শতাধিক কারা কর্মকর্তা ও কারারক্ষীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর পরও কমছে না অপরাধ। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারা ক্যাম্পাসে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে পলাশ হোসেন (৩০) নামের এক কারারক্ষীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ঘটনার পর থেকে অন্য দুই কারারক্ষী পলাতক। একই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মাদক কারবার ও সেবনের অভিযোগে হাই সিকিউরিটিসহ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ ও ২-এর পাঁচ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও একজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়।

২০১৮ সালের মে মাসে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় কর্মকর্তা ও কারারক্ষী মিলিয়ে অন্তত ৭০ জনের বিরুদ্ধে মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনজনকে চাকরিচ্যুত এবং দুজনকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে মাদকের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বরিশাল কারাগারের চার রক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়।

অনিয়মের আখড়া ‘কাশিমপুর কারাগার’ : কাশিমপুরে কারাগার রয়েছে চারটি। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নাশকতার মামলায় কয়েক শ কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হন। অনেকের ছিল জীবনে প্রথম কারাবাস। তাঁদের কাশিমপুরের বিভিন্ন কারাগারে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধ, জঙ্গি ও নাশকতাসহ বিভিন্ন দাগি আসামিদের সঙ্গে রাখা হয়। ওই সময় অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বন্দি ভিআইপি নেতাদের আরাম-আয়েশে জেলখানায় থাকার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ পেয়ে ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভিআইপি, শীর্ষ সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক কয়েদি ও হাজতিদের কাছ থেকে ১৬টি মোবাইল ফোন, একটি মিনি ল্যাপটপ, ১০টি পেনড্রাইভ, ৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, বিপুল পরিমাণ গাঁজা এবং বেশ কিছু রাইস কুকার, ব্লেন্ডার ও টি হিটার ফ্লাস্ক উদ্ধার হয়। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলামের কাছেও মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছিল। এই কারাগারে শীর্ষ জঙ্গিসহ বন্দিরা নিয়মিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠে আসছিল।

কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন, বোমা মিজান ওরফে জিহাদুল ও রাকিব হাসানকে ময়মনসিংহ আদালতে নেওয়ার সময় পথে ত্রিশালে সহযোগীরা প্রিজন ভ্যানে হামলা করে পুলিশ হত্যা করে তাঁদের ছিনিয়ে নিয়েছিল। এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে বেরিয়ে আসে, ছিনিয়ে নেওয়া তিন জঙ্গির মধ্যে রাকিব হাসান সহযোগীদের সঙ্গে নিয়মিত মোবাইল ফোনে কথা ও খুদে বার্তা আদান-প্রদান করতেন। গত ৭ আগস্ট কাশিমপুর-২ থেকে কৌশলে পালিয়ে যান যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আবু বকর সিদ্দিক। তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।

প্রশান্ত কুমার বণিক কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২-এর দায়িত্বে থাকার সময় বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে অর্থ আদায় করতেন বলে অভিযোগ ছিল। এমনকি আটক জামায়াত নেতাদের ব্যাংক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক কারারক্ষী জানান, কাশিমপুরের চারটি কারাগারে পাঁচ হাজারের বেশি বন্দি রয়েছেন। তাঁদের জন্য বরাদ্দের চাল, ডাল, মাছ, সিগারেট ইত্যাদি কম দিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন কর্মকর্তারা। খাবার কম দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করলে মারধরসহ নানা শাস্তি দেওয়া হয়।

সম্প্রতি কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ঢাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম রুবেল জানান, হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ কারাগারের ওয়ার্ডে রাজকীয় জীবন যাপন করেন। তাঁর রুমে ল্যাপটপ, আইফোনসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদন উপকরণ রয়েছে। তিনি কারাগারে বসে ভিডিও কলে ব্যবসা পরিচালনা করেন। জেল সুপারের সঙ্গে সমঝোতা করে প্রায়ই তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা শেখের সঙ্গে সময় কাটান।

কাশিমপুর কারাগারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎকাচ, অনিয়ম, অনৈতিক কার্যক্রম ও কারাবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠায়। প্রতিবেদনে কারা কর্মকর্তাদের উৎকাচের বিনিময়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের প্রিজন ভ্যানের বদলে বেসরকারি মাইক্রোবাসে করে আনা-নেওয়া, আসামির স্বজনদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়া, যাচাই না করেই দুর্ধর্ষ আসামিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাতের সুযোগ, বন্দিদের নির্যাতন এবং নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা স্বজনদের দেখিয়ে অর্থ আদায়ের তথ্য উঠে আসে। ওই সময় বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও অনিয়ম এখনো বন্ধ করা যায়নি।

লক্ষ্মীপুরে এখনো আলোচনায় তাহেরপুত্রের বিয়ে : উদাহরণ হয়ে আছে আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের পুত্র এ এইচ এম আফতাব উদ্দিন বিপ্লবের লক্ষ্মীপুর কারাগারের ভেতরে ঘটা করে গায়েহলুদ ও বিয়ে। ২০১৪ সালের ১ আগস্টের সেই ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। জেল সুপার ও জেলারের সহযোগিতায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি বিপ্লব ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুসারীরা কারাগারের ভেতরে তখন আয়েশি জীবন কাটাতেন। কারাগারের ভেতরে থেকে মোবাইল ফোন কলের মাধ্যমে সন্ত্রাস-ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করা চলত। জেলা প্রশাসক একাধিকবার অভিযান চালিয়ে কয়েকটি মোবাইল ফোনসেট, ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেনসিডিল, সুগন্ধি, লেপ-তোশকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিলেন।

তখন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছিল, কারাগারে বসেই বিপ্লব লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী এলাকার কলেজছাত্রী সানজিদা আক্তার পিউকে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। বিয়ের দিন রাত ১০টার পর একটি কালো মাইক্রোবাসে কনেকে কারা ফটকে নেওয়া হয়। সেখানে একটি রুমে তাঁরা (বর-কনে) একান্তে কিছু সময় ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর কারাগারের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জেলার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কয়েক বছর ধরে কারাগারে মাদক বা অন্য কোনো অনিয়ম নেই।

চট্টগ্রামে ব্যাবসায়িক মিটিং কারাগারে!

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল চমক লাগানো ঘটনা ছিল সিনিয়র জেল সুপারের কনফারেন্স কক্ষে একটি ব্যাবসায়িক গ্রুপের ১১ কর্মকর্তার সঙ্গে একটি খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ওই গ্রুপের ডিএমডি’র ‘বাণিজ্যিক সভা’। সেই ‘কার্যক্রম’ এখনো চলমান বলে দাবি করেছেন একজন কারারক্ষী। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ চিত্র পর্যালোচনা করলে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, কারা কেন্টিন, দেখা-সাক্ষাৎ ও ‘অফিস কল’-এর নামে বিশেষ সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বন্দি ও তাঁদের স্বজনদের কাছ থেকে। অনুগত কিছু কয়েদি এবং কারাগারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে একটি চক্র এই কোটি টাকার বাণিজ্য করছে।

বন্দিকে ‘রাজকীয়’ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান জেলার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি যেভাবে কারাগারে থাকেন, সেভাবেই টিটু আছেন। বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব