সুস্বাদু ও পুষ্টির জন্য গোটা বিশ্বেই টমেটো সমাদৃত। এছাড়া টমেটোতে থাকা ভিটামিন এবিসিকে, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, লাইকোপিন, ক্রোমিয়াম পুষ্টি উপাদান দেহের জন্য প্রয়োজনীয়—
দেখে নিন, টমেটোর উপকারিতা;
ক্যানসার দূরে রাখে
কয়েকটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, টমেটোতে থাকা উচ্চমানের লাইকোপিন প্রস্টেট, কোলন ও পাকস্থলির ক্যানসারের সেল তৈরি হতে দেয় না। লাইকোপিন হচ্ছে এক প্রকার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের সেল তৈরিতে বাধা দেয়।
সুস্থ ত্বক
টমেটো উচ্চ লাইকোপিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের ভালো ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। টমেটো থেঁতো করে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন অনেক দিনের। এটা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া ভাব, বলিরেখা ও চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে বিশেষজ্ঞরা টমেটো ব্যবহারের কথা বলেন।
মজবুত হাড়
তুলতুলে নরম এ ফলটি (সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়) মজবুত হাড় গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে। আর এ দুটি উপাদানই শক্ত হাড় গঠন ও টিস্যুর পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হৃদপিণ্ডের ভালো বন্ধু
টমেটোতে ভিটামিন-বি ও পটাশিয়াম থাকায় এটি কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত রক্তচাপ কমায়। টমেটোর জুস খেয়ে সহজেই হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানেই টমেটো
টমেটোতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-এ ও ভিটামিন সি। এসব ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন রক্তে জমা হওয়া সব টক্সিনকে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে।
কিডনির সুরক্ষায়
টমেটোর সালাদ নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ভয় থাকবে না।
ভালো দৃষ্টিশক্তি
ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ হওয়ায় টমেটো দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। যাদের রাতকানা রোগ রয়েছে তাদের জন্য টমেটো ভালো ওষুধ।