নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ গোলাগুলির প্রতিবাদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই পৌর মেয়র কাদের মির্জার আহ্বানে সকাল-সন্ধা হরতাল চলছে।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ হরতাল চলছে। এদিকে হরতালের সমর্থনে মিছিল চলাকালে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
এরপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে মির্জা কাদেরের সমর্থিত নেতাকর্মী বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বর থেকে জমায়েত হয়ে মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
মির্জা কাদেরের সমর্থকদের দাবি, সকাল থেকে পুলিশ মারমুখী আচরণ করছে। পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের ১২জন নেতাকর্মী আহত হয় এবং তাদের কয়েকটি চেয়ার ভাংচুর করা হয়েছে।
আহতরা হলেন— উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক গোলাম ছারওয়ার, বসুরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রাজীব, পিচ্চি মাসুদ, পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা আরজুসহ ১২ জন।
অপরদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিকনির্দেশনার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এছাড়াও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জে র্যা ব, ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সকালে কাদের মির্জা ওসি এবং পরিদর্শককে (তদন্ত) থানা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থানায় আসে এবং পুলিশের মুখের ওপর হাত নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলে।
কাদের মির্জা পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে গায়ে পড়ে মারমুখী আচরণ করে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে পুলিশ হট্টগোল সৃষ্টিকারী মির্জার সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে থানা এলাকা থেকে বিতাড়িত করে।
এদিকে কাদের মির্জার ডাকে হরতাল চলছে। পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। ক্রমশ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মির্জার সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল বসুরহাটের দিকে আসছে।
হরতালে উপজেলার কোথায়ও কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। বাজারে কোনো দোকানপাটও খোলেনি।
এর আগে শুক্রবার বিকালে চাপরাশিরহাট বাজারে কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল অনুসারী আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের কাদের মির্জা নিজের অনুসারী দাবি করে এবং তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে এ হরতালের কর্মসূচি দেয়া হয়।