এসময় বক্তৃতারা পশ্চিমবাংলায় কি ঘটছে, সাধারণ মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে কিভাবে বঞ্চিত, টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সমস্ত কিছু , সারাদেশে গুন্ডামী, চুরি , ছিন্তায়, মস্তানি বেড়ে চলেছে, এদিকে খেটে খাওয়া মানুষের দিন আনতে পান্তা ফুরায়।
মানুষ চাকরী পেয়েও চাকরী হারাচ্ছে। ডি ওয়াই এফের কলকাতা জেলা সভাপতি বিকাশ ঝা, এসবের প্রতিবাদে ৭ই জানুয়ারী সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই করার, এই আহ্বান। ইনসাফ , সঠিক বিচার চাই, তাই নতুন বছরে নতুন সকাল আনার ব্রিগেড সমর্থনে যৌবনের ডাক এবং হয়ে উঠবে জনগণের ব্রিগেড।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডি ওয়াই এফের কর্মীরা বলেন, আমরা ইনসাফের পক্ষে, আজ পর্যন্ত আমাদের কেউ দমন করতে পারেনি । আমরা আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের বহু নেতাকে হারিয়েছি, মইদুল ইসলাম থেকে শুরু করে সুদীপ্ত গুপ্তকে পর্যন্ত, তবুও আমরা ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য আজও একই ভাবে এগিয়ে চলেছি।আজ আমরা ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রা শুরু করেছি। কুচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বীরভূম, ও মালদা, আমাদের ইনসাফ যাত্রায় বহু বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও আমরা সফল হয়েছি ।
এবং ফিরে এসে আজকের আমাদের সভা, ইনসাফ যাত্রা বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি ,।খেটে খাওয়া মানুষের আর্তনাদ শুনেছি এবং কিভাবে তাদের কাজ করানো হচ্ছে, কিন্তু তাদের ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। নেতাকর্মীরা বলেন আমরা তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করেও চাকরি পাচ্ছে না। দিনের পর দিন চাকরির দাবীতে ধর্মতলায় বসে আর্তনাদ করছে শিক্ষার্থীগন। আমরা তাদের পাশে রয়েছি।
সঠিক বিচার ও ন্যায্য অধিকার পাওয়ার দাবী নিয়ে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার চুপ করে বসে আছেন। বিভিন্ন জায়গায় পথ খালি পড়ে আছে, সেদিকে সরকার খেলনা দিয়ে। টাকার বিনিময় অযোগ্য মানুষদেরকে চাকরী দেওয়া হচ্ছে।
অথচ শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা পথে বসে অনাসন করতেছেন। একইভাবে দিনের পর দিন সরকার দুর্নীতি চলেছে।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ডি ওয়াই এফের কলকাতা জেলা সভাপতি বিকাশ ঝা, উপস্থিত ছিলেন সোহম মুখার্জী, পৌলবী মজুমদার, সৌরভ পাল, ওয়াদী হোসেন, সংগীতে ছিলেন স্বর্ণালী,। ও কবি ও সঙ্গীতশিল্পী কাজী কমল নাসের সহ আরো অন্যান্য বহু শিল্পী ,কবি এবং যারা ৫০ দিন ধরে ইনসাফ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন অন্যান্য নেতাকর্মীরা ।