কভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন নিয়েছেন ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস। আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই টিকা গ্রহণ করেন। করোনাভাইরাসের এই ভ্যাকসিন প্রথম ধাপে ফ্রন্টলাইনারদের দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে ৫৫ বছর বয়সীদের উর্ধ্বে এই টিকা গ্রহণের তালিকায় রাখা হয়।
পরবর্তীতে সরকার সেটা শিথিল করে ৪০ বছর বয়সে নামিয়ে আনে। এরপরই ব্যান্ড সঙ্গীতের এই তারকা নিজ উদ্যোগে রেজিস্ট্রেশন করে আজ বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, জেমস করোনার সময় কঠোরভাবে বিধি নিষেধ মেনে চলছিলেন। ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষাও ছিল তার। ভ্যাকসিনের বিষয়ে প্রথম থেকেই ইতিবাচক মনোভাবী ছিলেন তিনি।
ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশের জন্য সরকারি টাকায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন এসেছে জানুয়ারির শেষভাগে। তখন থেকেই ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হন জেমস। অতপর আজ বুধবার দুপুরে ১ টায় জেমস এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন গণমাধ্যমকে বলেন, আজ দুপুরে জেমস কভিড ১৯ প্রতিরোধক টিকা গ্রহণ করেছেন। স্বাভাবিকভাবে টিকা গ্রহণ শেষে তিনবি বাসায় ফিরছেন। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন তিনি।
ফ্রন্টলাইনারদের পাশপাশি ভ্যাকসিন গ্রহণের বয়স শিথিল করায় গরহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে বলেই রাজধানীর বিভিন্ন টিকা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন কোটা বাদ দিয়ে বয়সের ভিত্তিতেই সব পেশার মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। এই তালিকায় যুক্ত হলেন জেমস।
এর আগে শোবিজের নওশীন ও হিল্লোলকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে দেখা যায়। তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ফ্রন্টলাইনার হিসেবে ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ পান। আর দেশীয় শোবিজ তারকাদের মধ্যে সুবর্ণা মোস্তফা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। তবে সংসদ সদস্য তালিকা থেকে তার এই ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ হয়।
তবে বয়স শিথিল করায় ভ্যাকসিন গ্রহণের মিছিল লম্বা হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই মিছিলে কোটা ছাড়াই যুক্ত হবেন নামী দামী তারকারা।