আংশিক লকডাউন বাস্তবায়ন করেও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি। গত ৭ জুন থেকে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভায় বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। একইভাবে ১৭ জুন কালাই এবং ২৩ জুন থেকে ক্ষেতলাল এবং আক্কেলপুর পৌরসভা অর্থাৎ জেলার ৫টি পৌর এলাকায় আংশিক লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। কিন্তু তারপরও কমছে না করোনার সংক্রমণ। আজকেও জেলায় আক্রান্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি। এ অবস্থায় ক্ষেতলাল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যানবাহন চালকদের নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঘোষণা দেওয়া হয়েছে নমুনা পরীক্ষা ছাড়া ক্ষেতলালে যানবাহন চালানো যাবে না।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার সকল সিএনজি ও ইজিবাইকচালকদের বিনামূল্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম আবু সুফিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রশাসনের এমন উদ্যোগে সারা দিয়ে সকাল থেকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই শতাধিক সিএনজি ও ইজিবাইকচালকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইন ধরে তাদের নমুনা দিয়েছেন। একইভাবে পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল ভ্যান চালকদেরও নমুনা সংগ্রহের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম আবু সুফিয়ান বলেন, করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি ঠেকানোর জন্য প্রশাসনিকভাবে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হয়েছে। বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি পরিসেবা ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় নমুনা পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। যানবাহন চালকদেরও নমুনা পরীক্ষার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আজ থেকে বিনামূল্যে তাদের নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে ক্ষেতলাল বাজারে চলাচলরত সকল যানবাহন চালকদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। নমুনা পরীক্ষা ছাড়া কোনো চালককেই ক্ষেতলাল বাজারে চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুনের পূর্বের সাত দিনে জেলায় করোনার আক্রান্তের গড় হার ছিল ২০.২৩ শতাংশ। আংশিক লকডাউন বাস্তবায়নের পরও এই হার কমছে না বরং বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার জেলায় ২৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ জেলায় আজ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের হার ২৮.৪০ শতাংশ।