মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।এ নিয়ে দেশে করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ১০ হাজার ৯৫২ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি ভাইরাসটি ধরা পড়েছে ২ হাজার ৬৯৭ জনের শরীরে।
শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে এসব জানা গেছে।এর আগে গত ১৯ এপ্রিল করোনায় একদিনে রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা একদিনে সর্বোচ্চ।তার আগের দিন ছিল ১০২ জন, এর আগের টানা দুইদিন ১০১ জন করে মৃত্যুর খবর আসে।তার আগে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ রেকর্ডের পর থেকে মৃত্যু ও সংক্রমণ কমতে থাকে। ২০ এপ্রিল ৯১ জন, ২১ এপ্রিল ৯৫ জন এবং ২২ এপ্রিল ৯৮ জনের মৃত্যু হয়।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৫৭১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ২৬৯৭ জন নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ জন।পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। আর প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি।
কিন্তু এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।গত বছরে এত মৃত্যুর সংখ্যা দেখেনি দেশ। তবে এ বছরই আক্রান্ত ও মৃত্যু রেকর্ড হারে বাড়তে থাকে।