দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গেল মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে।মৃত্যুও শতাধিক।এমন আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনায় রোগী শনাক্তের ঊর্ধ্বগতিতে প্রয়োজনে ফিল্ড হাসপাতাল করা হবে।একইসঙ্গে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো ও জনবল পুনর্বন্টন করা হচ্ছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের যেসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই হাসপাতালগুলোতে কীভাবে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো যায়, জনবল কীভাবে পুনঃবণ্টন করা যায়, আমরা সেদিকে মনোযোগ দিয়েছি। এর বাইরে ফিল্ড হাসপাতাল করা যায় কি না, সে বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। প্রয়োজন হলে ফিল্ড হাসপাতাল করব।
দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশে ৫০ থেকে ৭০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের চাহিদা থাকে। করোনাকালে সেটি আড়াই থেকে তিন গুণ বেড়েছে।
রোগীর সংখ্যা যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সেটি সামাল দেওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন ডা. নাজমুল।
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সংক্রমণের হার ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্তের হার বেড়েছে ৯ শতাংশ। মাত্র চার সপ্তাহ আগেও এই হার ছিল ১৩ শতাংশ। বর্তমানে ৩১.৪৬ শতাংশ।
সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী হার দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে-এমন মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। তারা বলেন, দেরিতে হাসপাতালে আনায় করোনা রোগীর মৃত্যু বাড়ছে।